প্রকাশিত: 29/01/2021
বাগেরহাটের জেলার চিতলমারী উপজেলার ৭নং সন্তোষপুর ইউনিয়নের দরিউমাজুড়ী গ্ৰামের ৫ নং ওয়ার্ডে সাংবাদিক রণিকা বসু (মাধুরী) তার পরিবারের সাথে বসবাস করেন৷ রবিনা গাইন(২৫) স্বামী তপন গাইন(৪০) এদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিগত ২মাস যাবত ঝামেলা চলে আসছে।গত ২৭/১/২০২১ইং তারিখ বুধবার সংবাদকর্মীর অনুপস্থিতিতে দুই দফায় বসত বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালান।
প্রথম দফায় সকাল ১১ টায় তার বাড়িতে তপন গাইন ১৫-২০জন সন্ত্রাসীরা মিলে হাতুরি, সাবল, রামদা,কুরাল ও মোটা লাঠি দিয়ে হামলা চালান। বিমল বসু (৭০) প্রিয়া বসু (৬৫)তন্ময় বসু (২৫) অর্পনা বসু (২২), ও ১ বছরের কোলের শিশুসহ মোট ৫ জনকে মেরে রক্তাত ও আহত করে ফেলে রেখে যায়৷পরে তাদের আহত ও রক্তাত অবস্থায় চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জনকে ভর্তি করা হয় এবং দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় বাড়িতে লোক না থাকায় সন্ত্রাসীরা ঘরে লুটপাট করে নগদ অর্থ আত্মসাৎ করে।
দ্বিতীয় দফায় বিকাল আনুমানিক ৪ থেকে সাড়ে ৪ টার সময় গ্রাম পুলিশ মনোজ বসু তার বহিরাগত ১০-১৬ জন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা চালান৷এ সময় গ্রাম পুলিশের নেত্রীত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীরা সাংবাদিকের বসত বাড়িতে জোর দখল করে একখানা টিনের ঘর তুলেন।বাড়িতে থাকা ভাইয়ের স্ত্রী অর্পনা বসুকে হুমকি ধামকি ও নোংরা কথা বলে এবং বাড়ি ছেরে চলে যেতে বলেন গ্রাম পুলিশ মনোজ বসু৷ ঘটনার সময় সাংবাদিক রণিকা বসু (মাধুরী) বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না৷
তিনি নিউজ সংগ্রহের কাজে তার সহকর্মীকে নিয়ে খুলনা গিয়েছিলেন৷খবর পেয়ে তিনি সরাসরি হাসপাতালে চলে আসেন।সাংদিকদদের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন আমি বাড়ি ছিলাম না ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে সরাসরি হাসপাতালে চলে আসি সেখানে আমার বাবা মা ভাইয়কে দেখতে গেলে আমাকে রবিনা গাইন (২৫)অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন আমি প্রতিবাদ করলে তপন গাইন (৪০) আমাকে তেরে মারতে আসেন৷সাংবাদিক রণিকা বসু মাধুরীর কাছে সাংবাদিকরা আরো জানতে চাইলে তিনি বলেন গ্রাম পুলিশ মনোজ বসুর সাথে তার পারিবারিক কোন শত্রুতা ছিলো না৷
তবে আমি একজন সাংবাদিক সেই হিসাবে গ্রাম পুলিশ মনোজ বসু আমার প্রতি হিংসাত্ব ছিলেন৷আমার বাড়িতে আশ্রয়ত একজন অসহায় এতিম মুসলিম মেয়ে থাকেন এই মেয়েটাকে কু-প্রস্তাব দেন সে তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে তাকে নিয়ে নানাধরনের নোংরা কথা বলে বেড়াচ্ছে এর প্রতিবাদ করার কারণে আমাকেও মানসিক ভাবে হয়রানি করেন। তিনি গ্রামের অসহায় মানুষদের ভাতার কার্ড,চালের কার্ড, সরকারী ঘর পাইয়ে দেবার নাম করে তাদের থেকে নগদ অর্থ আদায় করে আসছে৷এসব বিষয় প্রতিবাদ করায় তিনি আমার প্রতি ক্ষুদ্ধ ছিলো৷তারই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হামলা চালানো হয়েছে ৷
উল্লেখ্য এই গ্রাম পুলিশ মনোজ বসুর নামে চিতলমারী থানায় মেয়ে সংক্রান্ত বিষয় আগেও একটা মামলা আছে৷ সাংবাদিক রণিকা বসু (মাধুরী) থানায় এসে মনোজ বসু (৩৫),তপন গাইন (৪০),রবিনা গাইন (২৫), পরোতুল বসু (১৮), ও অজ্ঞাত সন্ত্রীসীদের বিরুদ্ধে (অফিসার ইনচার্জ) মীর শরিফুল হক স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।চিতলমারী থানার ওসি মীর শরিফুল হক বলেন অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷