স্বাধীনতা মানে যুদ্ধ, চীন তাইওয়ানকে হুমকি

স্বাধীনতা মানে যুদ্ধ, চীন তাইওয়ানকে হুমকি

চীন তাইওয়ানকে এই বার্তা দিয়ে হুমকি দিয়েছে যে, তারা স্বাধীনতা চাইলে যুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে। গত ১ সপ্তাহ ধরে তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েকটি চীনা যুদ্ধবিমান ঘুরাঘুরি করছে।

চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ান বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বলেছেন, তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই অঞ্চলটির স্বাধীনতা চাওয়া মানে যুদ্ধ। চীনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে পরিচিত অঞ্চলটি কখনই হস্তান্তর করা যাবে না। তাইওয়ানের খুব কম লোকই দ্বীপের স্বাধীনতা চায় বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, আমরা মুক্তি যোদ্ধাদের সতর্ক করে দিয়েছি, চীনের সশস্ত্র বাহিনী উস্কানি ও বৈদেশিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা আগুন নিয়ে খেলবে তারা নিজেরাই পুড়বে। তাইওয়ানের স্বাধীনতা মানেই হচ্ছে যুদ্ধ।

এদিকে, বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিতভাবে দক্ষিণ চীন সাগরে বিমান ও জাহাজ প্রেরণ করে নিজের শক্তি প্রদর্শন করছে। যা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতি। 

উ কিয়ানের মতে, চীন সরকার এই প্রচেষ্টাটাকে ব্যর্থ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। সে কারণেই দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তাইওয়ানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে পিপলস লিবারেশন আর্মি এসব এলাকায় সক্রিয় আছে। 

অন্যদিকে, চীনা হুমকির জবাবে তাইওয়ান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চীনকে এসব ব্যাপারে চিন্তাশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত এবং বর্তমানে এই সম্পর্কে তাদের চিন্তা করার সময় এসেছে। তাদের মনে করা উচিত দ্বীপরাষ্ট্রের মানুষের সংবেদনকে তারা যেন কম শক্তিশালী মনে না করে। তাইওয়ানের নাগরিকরা তাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যে কোনও লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, চীন-তাইওয়ান দ্বন্দ্ব ১৯২৭ সালে শুরু হয়েছিল। সেই সময় পুরো চীন জুড়ে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯৪৯ সালে মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা জাতীয়তাবাদী সরকারকে উৎখাত করে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটান। জাতীয়তাবাদী নেতারা তাইওয়ানে পালিয়ে যান এবং তারাই এখন তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণ করছেন। 

আরও পড়ুন

×