বিশ্বনাথে সরকারি খালের সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ দখল উচ্ছেদের দাবীতে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ

প্রকাশিত: 16/10/2019

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

বিশ্বনাথে সরকারি খালের সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ দখল উচ্ছেদের দাবীতে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ

সিলেটের বিশ্বনাথে ‘মির্জা খালের সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ দখল উচ্ছেদের দাবীতে’ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পাল বরাবরে লিখিত অভিযোগপত্র প্রদান করেছেন সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শ্বাসরাম গ্রামবাসী। অবৈধভাবে দখলপূর্বক খালটি ভরাট করে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ার ফলে স্থানীয় ইকরাম বিলে কৃষি ক্ষেতের (বিশেষ করে আউশ, আমন, বোরো) ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। এলাকার প্রায় ৮০ জন ব্যক্তি স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগপত্রে মির্জা খালের উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারী হিসেবে শ্বাসরাম গ্রামের মৃত আবদুন নূরের পুত্র শামীম আহমদ, মৃত হাবিব উল্লার পুত্র আবদুর রুপ, মৃত ইসমাইল আলীর পুত্র বুরহান উদ্দিন, মৃত আবদুল গফুরের পুত্র আবদুল লতিফ, মৃত শুকুর আলীর পুত্র এলাইচ মিয়া, মৃত আবদুল করিমের পুত্র কালাম মিয়া ও মৃত তবারক আলীর পুত্র মইন মিয়া গংদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে এলাকাবাসী উল্লেখ করেছেন, উপজেলার শ্বাসরাম মৌজার জেএল নং ৭২, খতিয়ান নং ১, দাগ নং ১৪২৭ ১৪২৮ ভূমি সরকারি খাল। যাহা ৯২৭ দাগের দক্ষিণ সীমানা হইতে শুরু হয়ে আমিরদিং নদী পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে। কিছু মানুষ নিজের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য জোরপূর্বক অবৈধভাবে খালটি ভরাট ও দখল করায় পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আর পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ার ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় ইকরাম বিলের কৃষি। এতে চরম ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। তাই দ্রুত সরকারি মির্জা খালের সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরদাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পাল বলেন, তদন্ত সাক্ষেপে এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


 

আরও পড়ুন

×