চুয়াডাঙ্গায় থেকে নিখোঁজ গৃহবধূর বিবস্ত্র লাশ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় নিখোঁজ এক গৃহবধূর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিখোঁজের তিন দিন পর গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার উথলী মোল্লাবাড়ি এলাকার আখক্ষেত থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর মরদেহে একাধিক ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

নিহত গৃহবধূর নাম তানজিরা খাতুন (২৫)। তিনি উপজেলার সিংনগর গ্রামের আবদুস সালামের স্ত্রী।

এর আগে সোমবার সকালে তানজিরা ও তার স্বামী মাঠে জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হলেও স্বামী এখনও নিখোঁজ। স্ত্রীকে স্বামী আবদুস সালামই হত্যা করে গাঢাকা দিয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।

স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার সিংনগরের আবদুস সালাম তিন মাস ধরে স্ত্রীসহ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া আবাসনে বসবাস করে আসছিলেন। সোমবার সকালের দিকে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য মাঠের উদ্দেশে বের হন তারা। ঘরে রেখে যান তাদের দুই শিশুকন্যা সাবিনা খাতুন (৫) ও আলিয়া খাতুনকে (৩)।

সন্ধ্যা পর্যন্ত বাবা-মা না ফিরলে দুই শিশুকন্যাকে এলাকার লোকজন তাদের দাদির কাছে সিংনগর গ্রামে রেখে আসেন।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার উথলী গ্রামের মোল্লাবাড়ির পাশে কোমরপাড়া নির্জন মাঠের একটি আখক্ষেতে তানজিরা খাতুনের  বিবস্ত্র ও ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ। তিনি জানান, নিহত তানজিরা খাতুনের মাথায় এবং ঘাড়সহ শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর দাগ রয়েছে। সোমবারের কোনো একসময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।