মৌসুমীর প্রতারনার শিকার প্রবাসী জুয়েল

প্রকাশিত: 03/03/2021

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মৌসুমীর প্রতারনার শিকার প্রবাসী জুয়েল

মানিকগঞ্জের মৌসুমী নামক  এক প্রতারক মহিলার  প্রতারণার  শিকার হয়েছেন ভূক্ত ভোগী জাপান প্রবাসী জুয়েল শিকদার। সরলতার সুযোগ নিয়ে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
জানা যায়, গত বছরের ১ মে  জাপান প্রবাসী জুয়েল শিকদার কে ভূল তথ্য উপস্থাপন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন  মৌসুমী । বিয়ের সময় ১৫ ভরি সোনা সহ ঘরের যাবতীয় সকল আসবাবপত্র ক্রয় করে দেন ওই জাপান প্রবাসী। বিয়ের পর কিছু দিন বেশ সুখেই ছিল তারা। হঠাৎ করেই মৌসুমীর আচরন পাল্টে যেতে থাকে। শুরু করে বিলাসী জীবন-যাপনের বায়না। এক পর্যায়ে জুয়েলকে বাধ্য করে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিতে।সে বাসাতেই মৌসুমী তার মা শেফালী বেগম ও মেীমিতা হোসেনকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।পরে নানা সময় নানা বাহানায় প্রতারক মৌসুমী জুয়েল এর সরলতার সুযোগ নিয়ে লক্ষ্ লক্ষ টাকা হস্তগত করে।এছাড়াও জুয়েল জাপান থেকে মৌসুমীর একাউন্টে কয়েক ধাপে ২০ লক্ষ টাকা পাঠায়।
দীর্ঘ সময় জাপান থাকার সুবাদে  মৌসুমী জুয়েল শিকদার এর অবর্তমানে ঢাকায় অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে সন্তান সম্ভাবা হয়। শুধু তাই নয়; ঘরে বসে  ওই প্রতারক মহিলা ও তার বোন মৌমিতা হোসেন দেহ ব্যবসা সহ নানাবিধ  কুকর্ম শুরু করেন বলে জানতে পারেন জুয়েল। এরমধ্যে জুয়েল দেশে আসার খরব পেয়ে  মৌসুমী বিবাহে প্রাপ্ত ১৫ ভরি সোনাসহ ঘরের সকল আসবাবপত্র  নিয়ে গা ঢাকা দেন। কিছু দিন পর জাপানে জুয়েল এর সাথে কথোপকথন শুরু করে আবারও মৌসুমী। এ সময় জুয়েলের প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী সন্তান সম্ভাবা হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও দম্ভের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডের কথা স্বীকার করে জানায় তিনি যা করেছেন তা বুঝেশুনেই করেছেন।বেশি বাড়াবাড়ি করলে জুয়েলকে মামলা হামলাসহ দেখে নেয়ার হুমকি দেয় মৌসুমী।সংসার টিকাতে জুয়েল দেশে ফিরে অনেক চেষ্টা করেও মৌসুমীকে ঘরে আনতে ব্যর্থ হন।পরবর্তীতে মৌসুমীর অনৈতিক কর্মকান্ড সহ নানা অপকর্মের প্রমান ও সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় জুয়েল তাকে তালাক দিতে বাধ্য হন।

কিছুদিন পর জুয়েল  কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়ে  দীর্ঘদিন  ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন।তার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে প্রতারক মৌসুমী জুয়েল এর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে মানিকগঞ্জ আদালত  মামলার অসত্য প্রতিবেদনে অসুন্তুষ্ঠ হয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি খারিজ করে দেন। এই  হয়রানি মূলক আচরণ এর কারনে আদালত উক্ত মৌসুমী হোসেন এর বিরুদ্ধে মামলা  দায়ের  করতে বিজ্ঞ আইনজীবীদের পরামর্শ প্রদান করেন যা প্রক্রিয়াধীন। 

এদিকে মামলায় ব্যার্থ হয়ে মৌসুমী নতুন চক্রান্ত শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে জুয়েল শিকদার এর করা শাহ আলী থানায় সাধারণ ডায়েরির  তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জীব সাহাকে ম্যানেজ করে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।  মিলেনিয়াম হিউম্যান রাইটস এন্ড জার্ণালিষ্ট ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)  তদন্তে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে যা অভিযোগ আকারে আইজিপি বরাবর নথিভূক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন

×