প্রকাশিত: 07/03/2021
রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের থোয়াইংগা কাটা এলাকার মাদক সম্রাট আব্দুল হক (মনু) এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। থোয়াইংগা কাটা এলাকার বাসিন্দা মৃত, মোঃ শফির দ্বিতীয় পুত্র, আব্দুল হক (মনু) কীটনাশক ব্যবসায়ী থেকে ধীরে-ধীরে হয়ে উঠেন মাদক সম্রাট।
জানা যায়, থোয়াইংগা কাটা ঢালার মুখ ষ্টেশনে কয়েক বছর আগে, ছোট্ট একটা টিন-সীট কীটনাশকের দোকান নিয়ে বসে, কীটনাশকের ব্যবসায় অল্প পুঁজি হলেও অভাব নেই তার। কারণ অন্ত চক্ষুর আড়ালে রাতে কাভার্ড-ভ্যানে করে পাচার হচ্ছে তার যুব সমাজ ধ্বংসকারী কোটি টাকার মরণ নেশা ইয়াবা।
এইভাবে রাতা-রাতি হয়ে যায় কোটি-পতি, স্থানীয় কিছু সচেতন ব্যক্তিরা বলেন, যদিও নাম বলতে অনিচ্ছুক, তবে তারা বলেন, তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে আব্দুল হক (মনু) এবং তার সহযোগিদের রমরমা মাদক ব্যবসার সরোপথ।
তারা আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন, তৎকালীন মাননীয় পুলিশ সুপার কক্সবাজার এবি.এম মাসুদ হোসেন অভিযান চালু করলে পালিয় যায় টেকনাফের বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীরা, তারা বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় পাহাড়ে আত্মগোপনে বন বিভাগের জায়গা মোটা অংকের অর্থ দিয়ে কিনে নেয়।
সেখানে অস্থায়ী ভাবে নির্মাণ করেন বিলাশ বহুল বাড়ি। সেই সুবাদে মাদক সম্রাট হয়ে উঠে আব্দুল হক (মনু)। তার ইয়াবার চালান পাচার করার জন্য, পাচার কারী হিসাবে ব্যবহার করে যাচ্ছে, তার দুই ভাতিজা, ওবাইদুল হক ও সিরাজুল হক কে। তারা দুই ভাই পেশাগত ড্রাইভার হলেও সেই সুবাদে হয়ে যায় দুই ভাই দুইটি কাভার্ড ভ্যানের মালিক।
এইভাবে গোপনে প্রশাসনের চোখ কে ফাঁকি দিয়ে প্রতিযোগীতা মূলক পাচার করে আসছে সেই মাদক সম্রাট মনুর লক্ষ-লক্ষ মরণ নেশা ইয়াবা। গত ১৫ ই অক্টোবর ২০ইং ২২ হাজার পিছ ইয়াবা নিয়ে নিজ মালিকানাধীন কাভার্ড ভ্যান গাড়িসহ র্যব-৩ এর হাতে আটক হয় মনুর ছোট ভাতিজা সিরাজুল হক।
থোয়াইংগা কাটা এলাকার সবার কাছে ফাঁশ হয়ে যায় মাদক কারবারি মনুর গোপনীয়তা। এই বিষয়ে এলাকার সচেতন মহলের কাছে তার মুখোস খুলে গেলে, সে কিছু দিনের জন্য এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয় বলে জানা গেছে। সিরাজুল হক আটক হলেও থেমে নেই মনুর মাদকের চোরা চালান বানিজ্য।
ঐ এলাকার সচেতন মহলের একমাত্র জোর-দাবি হচ্ছে, আব্দুল হক (মনু) সহ টেকনাফ থেকে পালিয়ে আসা বড় বড় মাদক সম্রাট, ও মনুর সহযোগী যারা আত্মগোপন করে অস্থায়ীভাবে থোয়াইংগাকাটায় বসতি নির্মাণ করেছে, তাদেরকে সহ সকল অপরাধীদেরকে অতি সত্বর আইনের আওতায় এনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা কে, বাস্তবায়ন করার আহব্বান জানান তারা ।