প্রকাশিত: 23/03/2021
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বয়ড়াতলা গ্রামে রোববার বখাটেরা হামলা চালিয়ে বাদশা নামে এক ব্যাক্তির বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। তাদের তান্ডবে ঘরের সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। আহত হয়েছে ৩ জন। আহতদের মধ্যে বাদশা মিয়া ওতার স্ত্রী রহিমাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, মোশাররফ হোসেন কলেজে পড়া একটি মেয়েকে প্রায় উত্যক্ত করতো পাশ্ববর্তী ভগবান নগর গ্রামের আব্দুর রশিদের বখাটে ছেলে তৌহিদুল। কলেজে যাওয়া আসার পথে মেয়েটিকে প্রায় অশালিন কথা বলতো ভকেশনালের নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্র তৌহিদুল। তার অত্যাচারে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয় মেয়েটি। রোববার দুপুরে ওই মেয়েটি বাড়ির সামনে দাড়িয়ে থাকার সময় তার হাত ধরে টানাটানি করে বখাটে তৌহিদুল। মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এ ঘটনা দেখে বাড়ির মধ্য থেকে বেরিয়ে আসে মেয়েটির চাচাতো ভাবি রহিমা। কড়া প্রতিবাদ করলে তৌহিদ চলে যায় দলবল গোছাতে। কিছুক্ষন পর ভগবান নগর গ্রামের তিতু, শান্ত, বনি, মিজানুর, আব্দুর রশিদ ও রাশিদুলকে সঙ্গে নিয়ে বখাটে তৌহিদুল মেয়েটির চাচাতো ভাই বাদশা মিয়ার বাড়িতে আকস্মিক ভাবে চড়াও হয় এবং ব্যাপক ভাবে ভাংচুর করে। এ সময় আহত হন গৃহকর্তা বাদশা মিয়া তার স্ত্রী রহিমা ও চাচাতো বোন রিভা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাদশা মিয়া রোববার সন্ধ্যায় জানান, তিনি এ ঘটনা জানতেন না। বাড়ি প্রবেশ করা মাত্রই বখাটেরা হামলা চালিয়ে আমার ঘরের সব কিছু তছনছ করে। বাদশা মিয়া জানান, আমি ও নির্যাতিত আমার চাচাতো বোন মামলা করার জন্য প্রস্তুত নিচ্ছি। আমরা থানার মধ্যে ওসি সাহেবের অপেক্ষায় বসে আছি। বিষয়টি নিয়ে ওয়েলফেয়ার এফোর্ট (উই) এর পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে পৌছে তদন্ত করেন সংস্থার কর্মকর্তা কুতুব উদ্দীন। তিনি প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তবে সেখানে ভাংচুর লুটপাট আর আহত হওয়ার খবর জানতাম না। তিনি বলেন অভিযোগ দিলে বখাটেদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।