লক্ষীপুর-২ আসনে উপ-নির্বাচন দুই প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

লক্ষীপুর-২ আসনে উপ-নির্বাচন দুই প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

লক্ষীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের আংশিক) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে দুই প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার  মোহাম্মদ দুলাল তালুকদার প্রার্থীদের মাঝে প্রর্তীক বরাদ্দ দেন।

জেলা নির্বাচন অফিসে আনুষ্ঠানিক ভাবে আওয়ামীলীগের মনোনীত দলীয় প্রার্থী এ্যাড: নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের হাতে নৌকা প্রর্তীক বরাদ্দ পত্র হস্তান্তর করেন। তবে এ আসনের অপর প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী জাতীয় পার্টির ফয়েজ উল্যা শিপন কে ‘লাঙল’ প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হলেও তিনি এ সময় নির্বাচন অফিসে উপস্থিত ছিলেন না।

আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শেখ মো. ফায়িজ উল্যাহ শিপন, বাংলাদেশ কংগ্রেস এর আবুল কালাম আজাদ মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষ হয় গত ১৯ মার্চ।

প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৪ মার্চ ওই দিন বাংলাদেশ কংগ্রেস’র মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করেন। এ দিকে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় প্রার্থী এ্যাড: নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন সাংবাদিকদের বলেন, তার পক্ষ থেকে রায়পুর সংসদীয় উপ-নির্বাচনে এক চুল পরিমাণ আচরণ বিধি লঙ্ঘন হবে না।

তিনি বলেন, আমার জাল ভোটের প্রয়োজন হবে না। আমার একমাত্র প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীকে আমি স্বাগত জানাই। নির্বাচন কমিশন বিতর্কীত হবে এমন কোন কাজ আমার পক্ষ থেকে হবে না। নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ন ও নিরপেক্ষ হয় সেই জন্য আমার পক্ষ থেকে সহযোগীতা থাকবে। সম্প্রতি তার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গনের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সাংবাদিকরা আমার পরিবারের সদস্য মনে করি। তাদের কাছ থেকে জাতি যেন ভুল তথ্য না পায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি আহবান জানান।
 

উল্লেখ, কুয়েতের আদালতে নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দন্ডিত হওয়ায় লক্ষীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়। এতে আসনটি শূন্য হওযায় আগামী ১১ এপ্রিল ইভিএম পদ্ধতির মাধ্যমে এ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনে মোটভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৯ হাজার ৬৩ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৮ হাজার ২৯৯ এবং পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪ জন। সদর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন এবং রায়পুর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায়সহ  মোট ১৩৬টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন

×