প্রকাশিত: 20/04/2021
প্রথম দফা লকডাউন শেষের পথে আবার শুরু হতে চলছে নতুন করে লকডাঊন।দফায় দফায় লকডাউনের ফলে দেশের ফুলের রাজ্যখ্যাত যশোরের গদখালীর ফুলের বাজার এখন ক্রেতা শুণ্য। বেনাপোল বা সাতক্ষীরা ছেড়ে ঢাকা, চট্রগ্রাম কিংবা সিলেটের ঊদ্দ্যেশে ছাড়েনি কোন পরিবহন।
ফলে অবিক্রিত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে আছে বস্তা বস্তা ফুল। ফলে অবিক্রিত অবস্থায় ক্ষেতে পড়ে আছে কয়েক কোটি টাকার ফুল।ফুল তুলে বিক্রি করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় চাষিরা ক্ষেত থেকে টাকা খরচ করে ফুল তুলছে না। গদখালির কৃষকদের বুক জুড়ে শুরু হয়েছে কষ্টের মাতম।
করোনার ভয়াবহতা ঠেকাতে সরকারের দেয়া সাত দিনের লকডাউনের প্রথম দিনেই চরম ধ্বস নেমেছে ফুলের বাজারে। বিশেষ করে পরিবহন বন্ধ থাকায় ফুল চাষিরা পড়েছেন মহা বিপাকে।পানির চেয়ে কম দর হেঁকেও খদ্দের পাচ্ছে না ফুল চাষিরা।
আজ সোমবার সকালে গদখালির ফুলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বস্তা বস্তা গোলাপ বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে আছে সাথে রজনীগন্ধা ও গ্লাডিওলাস সহ বিভিন্ন জাতের ফুল। ফুল চাষিদের মধ্যে বিরাজ করছে হাহাকার। রিক্সা ভ্যানে ফেরি করেও বিক্রি হচ্ছে না কোন ফুল।
নাভারন,বেনাপোল ঝিকরগাছা বাগআঁচড়া বাজারে ফেরি করেও ক্রেতা পাচ্ছে না ফেরিওয়াল। দোকানপাট বন্ধ থাকায় বাজারে লোকজনের চাপ কম। ফলে ফুলের ক্রেতা নেই বলে জানালেন ফুল বিক্রেতা হাসান।চাষিরা জানান ৭ দিনে গোলাপের ক্ষেতের অনেক ফুল শুকিয়ে গেছে।
লকডাউন যদি কোন কারনে বেড়ে যায় তাহলে চাষিরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, এ বছর গ্লাডিওলাস চাষ করা হয়েছে হেক্টর ২৭২ রজনীগন্ধা ১৬৫ এবং গোলাপ ১০৫ হেক্টর গাদা ৫৫ জারবেরা ২২ এবং রথষ্টিক ফুলের চাষ করা হয়েছে ৫ হেক্টর জমিতে।
২০১৯ সালে গ্লাডিওলাস বিক্রি হয়েছিল ১১ কোটি ৩৪ লাখ, রজনীগন্ধা ৪ কোটি ৯৬ লাখ এবং গোলাপ ফুল বিক্রি হয়েছিল প্রায় ১২ কোটি টাকার। ফুল চাষীরা ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋন নিয়ে ফুল চাষ করেছে। ফুলের ন্যায্য দাম না পেলে ব্যাংক ঋন মেটাতে জমি বিক্রি ছাড়া পথ থাকবে না। গত ৭ দিন লকডাউনে প্রায় ১ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষিকর্তা জানান।