প্রকাশিত: 20/04/2021
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার চিন্তামন থেকে রুদ্রানী বাজার সড়কের ওপর নির্মাণসামগ্রী ইট, বালু ও খোয়া রেখে চলছে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ। সড়কের ওপর রাখা ইট-বালু-খোয়ায় স্লিপ করে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা।
উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের চিন্তামন-রুদ্রানী বাজার সড়কের রতমতপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, চিন্তামন থেকে রুদ্রানী হয়ে আমবাড়ী পর্যন্ত চলছে গ্রামীণ সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ। সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য সড়কটির দুপার্শ্বে খনন করা হয়েছে খাল। ফলে আরো সরু হয়ে এসেছে সেই সড়কটি।
সেই সরু সড়কের ওপরেই প্রায় একমাস থেকে রাখা হয়েছে নির্মাণসামগ্রী ইট, বালু ও খোয়া। সেই ইট, বালু ও খোয়াতে স্লিপ করে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ ব্যাটারি চালিত রিকশা-ভ্যানসহ ছোটবড় যানবাহন। চিন্তামন-রুদ্রানী বাজার সড়কের রতমতপুর গ্রামে ইমরান হোসেন ও রাজেন্দ্র সিং বলেন, প্রায় একমাস পূর্বে সড়কটি প্রশস্তকরণের জন্য খনন করা হয়েছে সড়কের দুপার্শ্বে খাল।
ফলে সড়কটি আরো সরু হয়ে এসেছে। তারওপর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কে রেখেছে ইট, বালু ও খোয়া। সেইগুলোতে স্লিপ করে প্রায় সময় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। একাধিকবার নির্মাণকাজের শ্রমিকদেরকে সড়ক থেকে নির্মাণসামগ্রী সড়িয়ে নিতে বললে তারা কথা শুনেন না।
দুর্ঘটনার শিকার শামিম কবির বলেন, প্রায় ১৫ দিন পূর্বে চকিয়াপাড়া থেকে ফুলবাড়ীর উদ্দেশ্য মোটরসাইকেলে আসার সময় সড়কের ওপর রাখা বালুতে স্লিপ করে খালে পড়ে যাই। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে পায়ে গুরুত্বর আঘাত পাওয়ায় বেডরেস্টে থাকতে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইফান ইন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার সোহেল রানা বলেন, সড়কের দুপাশ্বেই ফসলি জমি তাই বহুদুর থেকে নির্মাণসামগ্রী এসে কাজ করতে হচ্ছে। যেখানে যেখানে কাজ শুরু করা হচ্ছে সেখানে সামান্য বালু রাখা আছে। সেই বালুগুলো ব্যবহার করে শ্রমিকরা কাজ করছেন। বেতদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ চলছে। সড়কের ওপর নির্মাণসামগ্রী রাখার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি ঠিকাদারকে বলব যদি সড়কে নির্মাণসামগ্রী রেখে থাকে তা সড়িয়ে নিতে।
ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী এফএএম রায়হানুল কবির বলেন, চিন্তামন-রুদ্রানী বাজার-আমবাড়ী সড়কে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রশস্তকরণ কাজ চলছে। তবে সড়কের ওপর নির্মাণসামগ্রী রাখার কথা না। ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বলে সড়ক থেকে নির্মাণসামগ্রী সড়িয়ে নেওয়া হবে।