প্রকাশিত: 22/04/2021
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে নির্মানাধীন মসজিদের পিলার ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হন। আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের বড়ুরিয়া গ্রামে।
আহতদের শৈলকুপা ও কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গেছে, বড়ুরিয়া গ্রামের জামে মসজিদ গড়াই নদীর ভাঙ্গনে পড়ে ভেঙ্গে যায়। পরে গ্রামবাসী অন্যত্র মসজিদ নিমার্নের সিদ্ধান্ত নেয়।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক বড়ুরিয়া গ্রামের খন্দকার রায়হান কবীর পলাশ ও রেহেনা খাতুনের দানকৃত জমিতে মসজিদ নির্মান কাজ শুরু হয়। এদিকে দানকৃত জমির মালিকানা দাবী করে ঐ গ্রামের তমাল নামের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন যাবৎ জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
এরই জের ধরে আজ ভোরে নির্মানাধীন মসজিদের দুইটি পিলার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে আলাউদ্দিন, নজরুল, শরিফুল, আল্লেক, সোহান, জামাল ও গোলাম মোস্তফাসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে নজরুলের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। জমিদানকারী খন্দকার পলাশ জানান, তিনি মসজিদের জন্য ৬ শতক জমি স্বেচ্ছায় দান করেন। দানকৃত জমিতে মসজিদ নির্মাণ কাজ চলছিলো।
বৃহস্পতিবার ভোরে তমাল ও বড়ুরিয়া গ্রামের মকলেছ বিশ্বাসের নেতৃত্বে দুলাল বিশ্বাস, মনোয়ার বিশ্বাস, কায়েম শেখ, রইচ মোল্লাসহ ১৫/২০ জন মসজিদের নির্মানাধীণ দুটি আরসিসি পিলার ভেঙ্গে উপড়িয়ে ফেলে। তমাল জানান, পলাশের দানকৃত জমিতে মসজিদ নির্মানে কোন বাধা নেই।
কিন্তু রেহানা খাতুন যে দুই শতক জমি দান করেছে তার মালিক আমরা। আমাদের জমিতে মসজিদের যে দুটি পিলার করেছিল তা তুলে দিয়েছি।শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, বড়ুরিয়া গ্রামে পাশাপাশি দুটি মসজিদ নির্মানকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।