প্রকাশিত: 23/04/2021
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালি ইউনিয়নের ফরাশগঞ্জ বাজার এলাকায় সৌদি প্রবাসী মো. হানিফের ২ শতাংশ জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মফিজ উল্ল্যাহর পুত্র আবদুল করিম গংদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন প্রবাসীর ভাই মো. ইউসুফ। প্রবাসী হানিফ সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমটুয়া গ্রামের মৃত. আবদুল গণির ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন, সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার আওতাধীন ফরাশগঞ্জ এলাকার যুবলীগ নেতা আব্দুল করিম ও একই এলাকার চৌধুরী মিয়ার ছেলে মো. ইব্রাহীম, বাদশা মিয়ার ছেলে কালা মিয়া, ইব্রাহীমের ছেলে মো. জহির, মৃত. ছায়েদুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর ও মো. ইউসুফ।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ২২৩ নং ফরাশগঞ্জ মৌজার ৬৬৫ ও ৬৬৭ দাগে ২ শতাংশ জমি সৌদি প্রবাসী মো. হানিফ ভোগদখল করে আসছে। হানিফ প্রবাসে থাকায় এ সুবাধে গত ১৭ এপ্রিল রাতে আব্দুল করিমের নেতৃত্বে সেখানে দোকানঘর নির্মাণ করা হয়।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিরোধকৃত জমি নিয়ে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় হানিফের পরিবার পরিজনকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে দুবৃত্তরা। ভুক্তভোগী পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রবাসীর ভাই মো. ইউসুফ বলেন, করিম ও ইব্রাহীম গং রাতের আধারে আমার প্রবাসী ভাই হানিফের ক্রয়কৃত জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও যুবলীগ নেতাদের ছবি ও পেস্টুন টাঙিয়ে দেন।
তিনি আরো বলেন, জমিটি দখলের পর থেকেই করিম গং তাদেরকে বিভিন্নভাবে হত্যা, গুম, মারধরসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। প্রবাসী ভাইয়ের জমি উদ্ধারের জন্য আমি বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা আব্দুল করিম জানান, বিরোধকৃত সম্পত্তি রামপুর গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের। আর ফারুক নিজেই লোকজন নিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। আমরা শুধু দেখাশুনা করছি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে সন্মান ক্ষুন্ন করায়, তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান।
এদিকে রামপুর গ্রামের মাও. আবদুস শহীদের ছেলে মো. ফারুক হোসেন বলেন, নির্মাণকৃত দোকানঘরের সম্পত্তিটি আমাদের। তবে কয়েকবছর পূর্বে হানিফের ভাই জিল্লুর রহমান জমিটি তাদের বলে দাবি করেন। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আর মামলাটি এখনো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিচারাধীন সম্পত্তিতে নতুন স্থাপনা নির্মাণ করা যায় কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এড়িয়ে যান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সফি উল্যাহ বলেন, জমিটি মো. হানিফের বলে জানতাম। রাতের আধারে হানিফের দখলীয় জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করে যুবলীগের লোকজন। জানতে পেরেছি সেখানে যুবলীগের দলীয় কার্যালয় করা হবে। এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল করিম বলেন, জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।