প্রকাশিত: 01/05/2021
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচার বসত ঘরে হামলা, ভাঙচুর, গাছ পালা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় চাচা আব্দুল মতিনকেও আহত করা হয়। সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামে রওশন আলী ব্যাপারী বাড়িতে মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে শুক্রবার আব্দুল মতিন পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ভাই ও দুই ভতিজাকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা হলেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই মোঃ সেলিম, ভাতিজা ইসমাইল হোসেন শিমুল ও রুবেল হোসেন।
সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী আব্দুল মতিন সাংবাদিকদের বলেন, চার মাস পূর্বে আমার বড় ভাই মোঃ সেলিম ভাতিজা ইসমাইল হোসেন শিমুলের ড্রাইভিং লাইন্সেস করার জন্য আমার সহযোগিতা চায়। আমি লোক মারফতে অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সকল কাগজ পত্র জমা দিই। অফিস কর্তৃপক্ষ কাগজ পত্র যাচাই বাচায় করে জানায় শিমুলের যাবতীয় কাগজ পত্র জাল। আমি বিষয়টি আমার বড় ভাই সেলিমকে অবগত করি।
তখন বড় ভাই সেলিম বলেন, আমি জাল বুঝি না! আপনি দায়িত্ব নিয়েছেন আমাদের লাইন্সেস করে দিতে হবে। তর্কবির্তকের এক পযায়ে সেলিম ,ইসমাইল হোসেন শিমুল, রুবেল মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে আমার বসত ঘরে হামলা চালায়। এসময় দা দিয়ে কুপিয়ে ঘরের বেড়া, দরজা, জানালা কেটে পেলে। বিভিন্ন জাতের গাছ পালা কেটে উজাড় করে।
আমি বাঁধা দিতে গেলে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আমাকে আহত করে। এবং শিমুল হুমকী দিয়ে বলে লাইসেন্স করে না দিলে প্রেট্টোল ঢেলে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিবে। পর দিন বুধবার সকাল ৯টায় রুবেল আমাকে আবার মারধর করে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে। আমি আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতা ভুক্ততেছি।
ভুক্তভোগীর ভাতিজা রুবেল হোসেন বলেন, আমার চাচার সাথে চাচাতো ভাই শিমুলের ঝগড়া দেখে আমি এগিয়ে যায় এবং তাদের ঝগড়া থামিয়ে দেয়। আমি চাচাকে মারধোর করার প্রশ্নই আসেনা। তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। যে জায়গার গাছ গুলো কাটার কথা তিনি বলছেন সেই জায়গাটিও তো আমাদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগীর বড় ভাই অভিযুক্ত মোঃ সেলিম বলেন, আমার ছেলে শিমুলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য চার মাস আগে আমার ছোট ভাই আব্দুল মতিনকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সে লাইন্সেস করে দিচ্ছে না আবার টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। এদিকে লাইসেন্সের কারণে ছেলে বিদেশ যেতে পারছে না। ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে।
টিনের বেড়া কেটে ফেলার ও গাছ পালা কাটার বিষয়ে তিনি স্বীকার করে বলেন, আমার ছেলে রাগের মাথায় তার চাচার ঘরের বেড়ায় কয়েকটি কোপ দিয়েছে এবং দুটি পেপে কাছ কেটে পেলে। বাকি গাছ গুলো আমার ভাই মতিন নিজেই কেটে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মারধোরের বিষয়টি সঠিক না।