প্রকাশিত: 04/05/2021
খুনের মামলায় কারাগারে আছে ছেলে,
কিন্তু বাদীপক্ষের নির্যাতনের শিকার হলেন, আসামির বৃদ্ধ মা রেহেনা বেগম স্বামী ছাবেবর আহমদ।
কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের অন্তর্গত নন্দা খালীর তিন নাম্বার ওয়ার্ডের উত্তর পাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটে।
গত কিছুদিন আগের ঘটনা মুরগির খামারে কাজ করতে গিয়ে একটি স্কুলে পড়ো কিশোরের মৃত্যুবরণ করেন সাইফুল ইসলাম রামিন
সেই ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে রামু থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করেন খুন হওয়া কিশোরের বাবা নুরুচ্ছাফা,
সেই খুনের মামলায় এক নম্বর আসামি হলেন মো ফেরদৌস তাকে রামু থানায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়,
এই ঘটনার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাই আমরা সবাই জানি।
কিন্তু বাদীপক্ষ এই বিচারের সন্তুষ্টি হয়নি,বাদীপক্ষের কয়েকজন ফেরদৌসের বৃদ্ধ মা-বাবাকে গালাগালি এবং মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
আজ রবিবার০ ২/০৫/২০২১তারিখ আসরের নামাজের পরপরই এই ঘটনাটি ঘটে বিস্তারিত জানার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে প্রশ্ন করা হলে,
মো ফেরদৌসের মা রেহেনা বেগম স্বামী ছাবের আহমদ জানিয়েছেন আমি এবং আমার ছোট বোন দুলু বেগম এবং আমার মা রুবি আক্তারসহ তাদেরকে আহত হতে দেখা যায়।
ফেরদৌসের মাকে দেখতে আসেন নানুর বাড়িতে মেহমান
তাদের উপস্থিতিতে বাদী পক্ষের চার পাঁচজন মিলে আমাদের উপর হামলা করেন ছাড় দেয়নি বাড়ির মেহমান কেউ সবাইকে মারধর করে আহত করেন,
অবস্থায় রামু ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে যাওয়া হয়।
এই বিষয় নিয়ে এলাকার বর্তমান রশিদ মেম্বার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আইনের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য বলেন।
নির্যাতিত হওয়ার রেহেনা বেগম রামু ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর,রামু থানায় একটি ৫,জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযুক্তরা হলেন একই ওয়ার্ডের ১/নুরুচ্ছাফা (৪৫)পিতা মৃত আবুল হোসেন,
২/নুরু হাসীম (৩৫)পিতা মৃত আবুল হোসেন, ৩/নূর হোসেন (৩৪)পিতা মৃত আবুল হোসেন, ৪/মীর হাসীম (৩৩)পিতা মৃত আবুল হোসেন। রিয়াদ উদ্দিন (১৯) পিতা নুরুচ্ছাফা।
খুনের ঘটনার জের ধরে বাদীপক্ষ প্রতিনিয়ত ফেরদৌসের মা-বাবাকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ করার সময় দেখা যায় মুরগির খামারে কাজের লোককে বাধা দেওয়া এবং ধান ক্ষেত নষ্ট করে দেওয়া গরু ছাগল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করতে দেখা যায়।
এই ঘটনায় সুষ্ঠু ও তদন্ত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন অসহায় পরিবার,
এই ঘটনায় জড়িতদের কে আইনের আওতায় আনার জন্য এবং প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন বৃদ্ধ রেহেনা বেগম স্বামী ছাবেবর আহমদ।