প্রকাশিত: 08/05/2021
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কৃপালপুর-আবাইপুর মাঠে বৃহস্পতিবার সকালে বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত অবস্থায় এক পাগলী(৪৫) কে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার হোসেন মৃধা জানতে পেরে পাগলীটকে শৈলকুপা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বর্তমানে শৈলকুপা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।উপজেলা মহিলা বিষয়ক বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা খাতম বলেন, করোনার কারণে অফিসে নিয়মিত বসা হচ্ছে না। এই বিষয়ে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে জানাতে পারবো। আইনি সহায়তার বিষয়েও সহযোগীতা করতে পারবো।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুন বলেন, শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে।কেউ তার নাম বলতে পারেনি।তাকে আমরাই ওষুধ পত্র দিচ্ছি। তার অবস্থা মারত্বক। তবে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন হয়েছে কিনা পরীক্ষা করা হয়নি।
আমরা তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেছি। কিন্তু তার লোকজন না থাকায় সে এখানেই রয়েছে পরীক্ষা করা হয়নি।তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। পরীক্ষার পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা।শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, পাগলীটা এখন শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। ফিজিক্যালি এসাল্ট হয়েছে।
এই ঘটনায় কোন মামলা হয়নি এখনও পর্যন্ত।এই বিষয়ে ঝিনাইদহের সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন,ভিকটিমকে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে এটা নিশ্চিত। তবে রিপোর্ট না পেলে ধর্ষণ হয়েছে কিনা বলা যাবে না।
আবাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার হোসেন মৃধা বলেন,বৃহস্পতিবার সকালে আমি গ্রামের লোকজনের মুখে শুনলাম মাঠের মধ্যে একটা লাশ পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে আমি দেখতে দেখলাম বিবস্ত্র অবস্থায় পাগলী পড়ে আছে।
চোখের উপর কাটা দাগ,হাত-পা সহ শরীরের বিভিন্ন যায়গায় নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।পরে আমি কাপড় ম্যানেজ করে ভ্যান ভাড়া করে তাকে নিয়ে যেয়ে হাসপাতালে ভর্তী করেছি।তিনি বলেন, এই পাগলীটা ২-৩ বছর থেকে হাটফাজিলপুর বাজারে থাকতো।
ভাষা অন্যরকম কেউ বুঝতে পারেনা। কোথা থেকে এসেছে কেউ বলতে পারেনা।এদিকে খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, এই মাঠে নিয়মিত মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। ঘটনার আগের দিন রাতেও পাগলীটাকে আবাইপুর সংলগ্ন রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখেছে অনেকে।