নরসিংদীতে ৩৩৩ নাম্বারে কল করলে মানুষের কাছে পৌছে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহযোগিতা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে ও নরসিংদী জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সারাদেশের ন্যায় রায়পুরা উপজেলার নিম্ন আয় ও কর্মহীন হওয়া নাগরিকদের মধ্যে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। রায়পুরা উপজেলার নিম্ন আয় ও কর্মহীন ভোক্তভোগীরা সরকারি জরুরী সেবা ৩৩৩ এবং উপজেলা প্রশাসনের হট লাইনে যোগাযোগ করে এ সেবা পাচ্ছেন।

রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ আজগর হোসেন মহোদয় বলেন, “জরুরী সেবা ৩৩৩ ও উপজেলা হট লাইনে যারা যোগাযোগ করেছেন, যাচাই বাচাই করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপহার পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্ঠা করছি। এ পর্যন্ত ৩৩৩ নাম্বারে ১৯ টি ফোন এসেছে এর মধ্যে যাচাই বাচাই করে ১৭ পরিবারকে খাদ্য সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের হট লাইনে ৩৩ টি পরিবার খাবারে জন্য কল করেছেন, আমরা প্রতিটি পরিবারের মাঝে খাদ্য সহযোগিতা পৌছে দিয়েছি।“

সারাবিশ্বের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থি দ্বিতীয় ধাপে খুভ উল্ল্যেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী বন্ধু দেশ ভারতে বর্তমানে ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থি অত্যান্ত বিপদজনক এবং প্রতিদিন সেখানে সবচেয়ে বেশি মানুষ কভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশেও এই সংক্রমণের পরিমাণ উদ্যেগজনক অবস্থায় আছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন উল্ল্যেখযোগ্য হাড়ে কভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং দুঃখজনক ভাবে মানুষ মারা যাচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতে বাংলাদেশ সরকার দেশের মানুষের অবাদ চলাচল ও কর্মকাণ্ডের উপর প্রয়োজনীয় বিধিনিষেদ আরোপ করেছেন। গণপরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত ঘোষণা দিয়ে সীমিত আকারে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। মাস্ক পরিধান করে, স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়ম মেনে জনগণ স্বাভাবিক চলচল ও কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারছেন। কিন্তু, সমাজে যারা মধ্যবিত্ত, দরিদ্র, হত দরিদ্র তারা এই চলমান লকডাউন পরিস্থিতে অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যায় পরছেন। তাদের প্রতিদিনের আয় বন্ধ থাকায় অনেকেই না খেয়ে চরম দুঃখজনক ভাবে দিন কাটাচ্ছেন।

সমাজের এই শ্রেণির লোকদের জন্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় সরকার পর্যায়ে যথাযত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং সরকারি জরুরী সেবা নাম্বার ৩৩৩ চালু করার মাধ্যমে সরাসরি ভোক্তভোগীদের কল করতে বলা হয়েছে। একই সাথে যে কোন ভোক্তভোগী স্থানীয় উপজেলা, ইউনিয়ন সমুহে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেতে পারেন।

৩৩৩-এর সেবা আরো নাগরিক-বান্ধব করে তোলার ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হচ্ছে 'প্র্যাংক কল' বা অপ্রয়োজনীয় কল। এর ফলে প্রকৃত অসহায় ব্যক্তিদের সেবা পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। সুতরাং, ৩৩৩-তে অযথা কল করলে অথবা কলে মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে কলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।