প্রকাশিত: 17/05/2021
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। অসহনীয় গরম। এমন পরিস্থিতিতে ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ট জনজীবন। বিনা কারণেই চলে যায় বিদ্যুৎ। সামান্য বাতাস উঠলেই বন্ধ করে রাখা হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। সাথে বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ অফিসের অফিসিয়াল মুঠোফোনটিও।
গতকাল সোমবার কোন ঝড়বাতাস ছিল না। মেঘলা আকাশ দেখেই বারবার চলে যায় বিদ্যুৎ। সকাল থেকে বিকাল ৫টা অবধি অন্তত ৩০-৩৫ বার গেছে বিদ্যুৎ।
এইসময় নেই ইরি বা বোরো রোপণ সেচ কাজ। নেই স্যালোমেশিনের চাপ। এছাড়াও করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন বড়-বড় শিল্প ও ব্যবস্থাপ্রতিষ্ঠানগুলো সীমিত আকারে চলার পরেও বিদ্যুতের এমন ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ট ফুলবাড়ীবাসী। বিদ্যুৎ অফিসের জরুরী নাম্বারসহ কর্মরতদের মুঠোফোনে ফোন করেও পাওয়া যায় না তাদের।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা গেছে।
ফুলবাড়ী সুজাপুরস্থ ফুটব্রিজ সংলগ্ন বাসিন্দা চন্দ্রনাথ গুপ্ত ও দিপক চন্দ্র বলেন, দিনের প্রায় বেশিক্ষণ সময়েই আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ থাকে না। দিনে প্রায় ২০-২৫ বার যায় বিদ্যুৎ। একবার গেলে আর দেখা মিলে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বিদ্যুৎ অফিসে সমস্যার কথা জানাতে গেছে তারা দুর্ব্যবহার করে বিদ্যুৎ গ্রহকের সাথে। তাদের কি কিছু বলাই দায়।
ফুলবাড়ী পৌরবাজারের কনফেকশনরী ব্যবসায়ী কোরবান আলী ও সজীব দত্ত বলেন, রোজ রোজ তো ঝড়বৃষ্টি হয়না, তবে রোজ রোজ বিদ্যুতের এতো সমস্যা কেনো? কাউকে অবগত না করেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এতে আমাদের দোকানের ফ্রিজসহ আইক্রিমের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
ফুলবাড়ী থেকে প্রকাশিত দেশ মা পত্রিকায় কর্মরত ওয়াহিদুল ইসলাম ডিফেন্স ও প্লাবন শুভ বলেন, বিদ্যুতের এমন ভেল্কিবাজির কারণে পত্রিকার প্রকাশে ব্যাহত ঘটছে। পত্রিকার ফাইল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বারবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রিক সামগ্রী ক্ষতির মুখে পড়ছে। ইতোমধ্যে পত্রিকা অফিসের দুইটি সিপিইউ, দুইটি মনিটার, একটি প্রিন্টার, দুইটি ইউপিএস, রাউটার ও স্পিকারসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রিক পণ্য পুড়ে যায়। এতে পত্রিকা অফিসের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এবিষয়ে নেসকোর ফুলবাড়ী আবাসিক প্রকৌশলী মো. উজ্জ্বল আলীর মুঠোফোনে (০১৭৫৫ ৫৮৪৯০৭) একাধিকবার ফোনকল করা হলেও তিনি ফোনকলটি গ্রহণ করেন’নি।