প্রকাশিত: 17/05/2021
করোনা মহামারির কারণে এক ঘেয়ামি জীবনযাপন পালন করছিলের দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলাবাসী। একটু প্রশান্তির খোঁজে যেনো হাহাকার। ঠিক সঠিক সময়ের নয়, সঠিক সুযোগের অপেক্ষা করছিলেন। করোনা মহামারি পরিত্রাণ থেকে মুক্তি না পেতেই ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ভিড় জমিয়েছেন সকলে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে। সেগুলোতে ভুলেই যাওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি নামক কোন শব্দকে। স্বাভাবিক জীবনযাপনের মতো ঈদ আনন্দকে ভোগ করছেন শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষরা।
করোনা মহামারির কারণে বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকার নির্দেশনা থাকলেও তা মানেন’নি বিনোদক কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। বিনোদন পিপাসুদের পদচারণায় মুখোরিত হয়ে আছে, দিনাজপুর সিটিপার্ক, মায়াবী স্বপ্নময় ভুবন স্বপ্নপুরী, রামসাগর, বিরল রিসোর্ট, মোহনপুর রাবার ড্যাম, এশিয়া উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ বড় মাঠ, নবাবগঞ্জের আশুরার বিলে শেখ ফজিলাতুন্নেছা কাঠের আঁকাবাঁকা ব্রিজ, বীরগঞ্জের সিংড়া ফরেস্টসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো।
নবাবগঞ্জের শেখ রাসেল উদ্যান এবং আশুড়ার বিলকে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ বাড়াতে আশুরার বিলের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ৯০০ ফুট দৈর্ঘ্য কাঠের আঁকাবাঁকা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ব্রিজ। সেখানে ঈদের দিন থেকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখোর চারিপাশ। সেখানে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে বিলে চলছে নৌকা। করোনাভাইরাসের কথা ভুলে গিয়ে আনন্দে আত্মহারা পর্যটকরা। নেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে কর্তৃপক্ষের কোনপ্রকার উদ্যোগ। একই রকম চিত্র ভিন্ন সকল বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহজাহান আলী বলেন, করোনাভাইরাসে কারণে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে মৃত্যুরহার কমছে না। সেইদিকে কারোই নজর নেই। সকলে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে আনন্দে মেতে উঠেছেন। বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। এতো লোকের সমাগমের কারণে ঝুঁকিতে পড়ছে সকলে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, জাতীয় উদ্যোন বন্ধ রাখার জন্য বনবিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবাবগঞ্জ রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিটি প্রবেশ পথে বাঁশের বেঁড়া দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পর্যটকরা সেগুলোে ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করছে।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এইসময় করোনার চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। মানুষকে এতো সচেতন করার পরেও যদি মানুষ না বোঝে। তবে তারা নিজেদের এবং নিজেদের পরিবার পরিজনদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছেন। বিষয়টি দুঃখজনক।