প্রকাশিত: 04/06/2021
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বারইখালী গ্রামে পিতার সাথে মেয়ের অনৈতিক সম্পর্কের অপবাদ দিয়ে পরিবারের সবাইকে নির্যাতন করেছে ওই গ্রামের প্রভাবশালী মাতুব্বররা। এ ঘটনায় গ্রামজুড়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ নুর আসলাম নামে এক মাতুব্বরকে গ্রেফতার করেছে। নির্যাতনে পিতা ইদ্রিস আলী, মা গোলাপী খাতুন ও মেয়ে তানজিলা আক্তার পারভিন আহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, নির্যাতিত ইদ্রস আলীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ মাতুব্বর নুর ইসলাম নামকে গ্রেফতার করে। সে বারইখালী গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে। নির্যাতনের শিকার গোলাপী খাতুন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, তার মেয়ে তানজিলা আক্তার পারভিন (১৫) একই গ্রামের তালেবের ছেলে আকাশ হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ছেলে মেয়ে দুজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিয়ে বিয়ে দিতে আমরা অস্বীকৃতি জানায়। গোলাপী খাতুনের ভাষ্যমতে, গ্রামের মাতব্বর নুর ইসলাম, ফরিদ, হামিদ ও বিল্লাল হোসেন আমার স্বামী ইদ্রিস আলীকে মেনে নিয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তাদের দাবি না মানায় আমার স্বামী ইদ্রিস আলী ও মেয়েকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে অনৈতিক সম্পর্কের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করে। শালিসে মুখে চুনকালী দিয়েছে। আমাকেও হামিদ আর বিল্লাল শারীরিক ভাবে খুব নির্যাতন করেছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানন, বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযোগ পেয়ে আমরা অভিযুক্ত মাতব্বর নুর ইসলামকে আটক করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, এমন অভিযোগ সদর থানায় করা হয়েছে বলে শুনেছি। অভিযোগের সত্যাতা পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিব।