ফুলবাড়ীতে হিসাব রক্ষণ অফিসের টালবাহানা ও অনিয়ম বিরুদ্ধে শিক্ষকদের অবস্থান মানববন্ধনসহ ধর্মঘট কর্মসূচি

ফুলবাড়ীতে হিসাব রক্ষণ অফিসের টালবাহানা ও অনিয়ম বিরুদ্ধে শিক্ষকদের অবস্থান মানববন্ধনসহ ধর্মঘট কর্মসূচি

ফুলবাড়ীতে হিসাব রক্ষণ অফিসের টালবাহানা ও অনিয়ম বিরুদ্ধে
শিক্ষকদের অবস্থান মানববন্ধনসহ ধর্মঘট কর্মসূচি


দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সরকার ঘোষিত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেড প্রদানে উপজেলা হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ের টালবাহানা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মানবন্ধনসহ অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। 
গতকাল রবিবার ফুলবাড়ী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষকবৃন্দের উদ্যোগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। 
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক এসকে মোহাম্মদ আলী, তমিজুল ইসলাম, আব্দুল আলিম, শামিমা নাসরিন, সৈয়দ আপেল মাহমুদ দিপু, আবু তালেব, মোকলেছুর রহমান, তছলিম উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
অবস্থান চলাকালে বক্তরা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন থেকে সরকারি শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নিত করার দাবি জানিয়েছে। সেই দাবিতেই বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকার গত ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি শিক্ষকদের বেতন ১৩ তম গ্রেডে উন্নিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তখন থেকেই মন্ত্রণালয় অধিদপ্তর ও অর্থ বিভাগ বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের উন্নিত গ্রেডে বেতন নির্ধারনের নির্দেশনা দিয়ে আসছে। কিন্তু ফুলবাড়ী উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষ করে উন্নিত গ্রেডে বেতন নির্ধারণের সময় ক্ষেপন করছেন। সর্বশেষ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চলতি বছরের গত ১০ মে এর মধ্যে সহকারী শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের সময় বেঁধে দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশনাও উপেক্ষা করেছে উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ শেষে সার্ভিস বহিসহ যাবতীয় তথ্য হিসাব রক্ষণ অফিসে প্রেরণ করে। এরপরেও তারা দীর্ঘদিন থেকে কাজটি অসম্পন্ন রেখেছে। নানা অজুহাতে আর অনৈতিক দাবি নিয়ে সময় ক্ষেপন করছে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস। এমনকি তাদের দাবি পূরণ না করায় বেশ কিছু শিক্ষকের বেতন কর্তন করেছে তারা। 
    পরে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন উপজেলার প্রায় শতাধিক প্রাথমিক শিক্ষকরা।
    ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাম্মৎ হাসিনা ভূঁইয়া বলেন, যে শিক্ষকের যে যোগ্যতা ছিল সে যোগ্যতা নিয়েই শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে উন্নিত করণে রায় হয়। সে রায় অনুযায়ী সব উপজেলা পর্যায়ে ১৩ গ্রেডের আওতায় আসে। ফুলবাড়ী উপজেলার শিক্ষকদের কাগজপত্র ঠিকঠাক করে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে দেওয়া হয়। তাদের কাজের ব্যস্ততা করণে হয়তো কাজটি করতে দেরি হচ্ছে। হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন তিনি জুলাই মাসে সব কাজ সম্পন্ন করবেন। কিন্তু জুলাই মাসে আরেকটি ইনক্লিমেন্ট লাগবে। সেহেতু জুলাই মাসে ইনক্লিমেন্ট লাগলে শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেডের ফিক্সিয়েশনটি আরো পিছিয়ে যাবে। 
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরার সাথে যোগাযোগ করা হলে, শিক্ষকদের বিষয়ে আমাকে ইউএনও স্যার ডেকেছেন। আমি সেখানে যাচ্ছি, এসে কথা বলবো বলে তিনি বেড়িয়ে যান।
    এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হিসাব রক্ষণ অফিসার ও শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করছি। আপনাদের সাথে পরে কথা বলব। 
 

আরও পড়ুন

×