প্রকাশিত: 16/06/2021
চকরিয়া উপজেলার হারবাং এলাকার চিন্হত মাদক কারবারী দেলোয়ার বাহিনির বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করায় হামলার স্বীকার হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা।
১৫ জুন মঙ্গলবার সন্ধায় এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, চকরিয়ার মাদক সম্রাট দেলদুয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রানালয়ের তালিকা ভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। দেলোয়ার তার ভাই বাচ্চু মিয়া ও সহযোগী জসিম উদ্দীন তুষারসহ একটি মাদক কারবারী চক্র তৈরি করেন। সাংবাদিক ইউসুফ রুবেল প্রতিনিয়ত এসব মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে সাংবাদ পরিবেশন করে আসছিল। এর পর থেকে সাংবাদিক ইউসুফ রুবেলের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। একপর্যায়ে সে হামলার স্বীকার হন ইউসুপ রুবেলের পরিবার। গত ১৬ এপ্রিল তার ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনে দেলোয়ার বাহীনির মাদক কারবারের গুরুত্বপুর্ন তথ্য ধারন করে। সে খবর দেলোয়ার বাহিনির কাছে পৌছালে রাতের আধারে তার বাড়ীতে হামলা করে মা- বোনকে নির্যাতন করে ক্যামরা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যাই। পরের দিন থানায় এজাহার দায়ের করলে তদন্ত শেষ করে সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় মামলা রেকড করা হয়।
১৫ জুন রাতে দেলোয়ার বাহিনী পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। স্থানীয়রা ঘটনা টেরপেয়ে এগিয়ে আসলে আহত অবস্থা সাংবাদিক ইউসুপ রুবেলকে পড়ে থাকতে দেখে থানায় ফোন করে জানায়। এস আই মোরশেদ তাকে উদ্ধার করে নিজের গাড়ীতে করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।
হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মোরশেদ বলেন, এরা দেশ ও জনগণের শত্রু। এদেরকে ধরিয়ে দিয়ে আইনের আওতায় আনার জন্য সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ যে, গত ৫ জুন ইউসুফ অফিসের কাজে ঢাকার যায়। সে সুযোগে তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার চেষ্টা চালায়। চিৎকার শুনে এলাকাবাসী আসলে তারা দ্রুত ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায়। একই রাতে মামলার পাঁচ নম্বর সাক্ষী মোরশেদ কে বাড়ি ফেরার পথে হামলা চালানো হয়। তার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে সেখানেও তাকে হত্যা করতে ব্যর্থ হয়। তারপরে হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে সাক্ষী তার নিরাপত্তার জন্য সাধারন ডায়রি করে। চকরিয়া থানার পুলিশ তাকে ধরার জন্য ওয়ারেন্ট জারি করেছে বলে জানিয়েছেন ওসি শাকের মোহাম্মদ জোবায়ের।