প্রকাশিত: 23/06/2021
ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা দিনাজপুরের ফুলবাড়ী হুরহুর করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৩৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোডিভ-১৯) শনাক্ত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ৬৬ জনের করোনা শনাক্তসহ একজনের মৃত্যু ঘটেছে। এ নিয়ে উপজেলায় মোট ৭৪ জনের করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবারে ৩৩ জনের র্যাপিট এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এদের মধ্যে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত পাওয়া যায়। গতকাল বুধবার ৩৮ জনের র্যাপিট এন্টিজেন টেস্ট আরো ১৯ জনের শনাক্ত আসে। এছাড়াও গত ২১ জুন ১৪ জন (র্যাপিট এন্টিজেন), ২০ জুন ১ জন (আর টি পিসি), ১৯ জুন ২জন (আর টি পিসি) ও একজনের মৃত্যু, ১৮ জুন নেই এবং ১৭ জুন ১৪ জনের (র্যাপিট এন্টিজেন) করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে জনগণকে সচেতন করতে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ফুলবাড়ী পৌরসভা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ভ্রাম্যমান আদালন পরিচালনা করছেন।
এতোকিছুর পরেও মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে না সচেতনতা। যে যার খেয়াল খুশি মতো চলাফেরা করছে। এমনকি করোনা রোগীও সকলের অজান্তে দেদারসে ঘোরাফেরা করছে। থামছে না প্রাইভেট-কোচিং সেন্টারগুলো।
গত রবিবার (২০ জুন) উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমকর্র্মীদের নিয়ে জরুরী সভা করেন। সেখানে ব্যবসায়ী নেতারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচার আশ^াস দিলেও তা রাখছেন না তারা। দোকান-পাট কিংবা খাবারের হোটেলে থাকছে না যথসামান্য স্বাস্থ্যবিধির বালাই। এছাড়াও প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালালেও মাস্ক পরতে অনীহা দেখা গেছে পথচারি, বিভিন্ন যানবাহনের চালক-যাত্রীদের মাঝে।
ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে ফুলবাড়ীতে। প্রতিদিন র্যাপিট এন্টিজেন এবং আর টি পিসি টেস্টে শনাক্তের হার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ থাকছে। তবুও মানুষের মধ্যে কোনপ্রকার ভয়ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যদি এমনি চলতে থাকে তবে খুব শিঘ্রই ফুলবাড়ীকে লকডাউন দিতে হবে।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাসের শনাক্ত বাড়ছে কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতা দেখা দিচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। #