প্রকাশিত: 01/07/2021
সারাদেশের মত কক্সবাজারেও লকডাউনে বিধি নিষেধ। করোনা সংক্রমণ রোধে শুরু হয়েছে এক সাপ্তাহের কঠোর বিধি নিষেধ বা লকডাউন।বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে এই লকডাউন। লকডাউনের প্রথম দিনে কক্সবাজার শহর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এর প্রভাব।সরকার ঘোষিত বিধি- নিষেধ যথাযথভাবে পালন করতে শহরের প্রবেশপথে কলাতলী মোড়, বাসটার্মিনাল ও লিংকরোডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও পুলিশ সদস্যরা।জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় দেখা গেলে আটকানো হচ্ছে চেকপোস্টে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে পরিদর্শন করে এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুর রশিদ ও পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান সহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে আবারও এই বিধি-নিষেধ লকডাউনে বিপাকে পড়ছে খেটে খাওয়া মানুষরা। কলাতলী ঝিরঝির কোয়ার ডাব ব্যবসায়ী নুরুল কবির জানান, একদিন বের না হলে পেটে ভাত জোটে না। একি কথা বললেন বাসটার্মিনালের হাজি পাড়ার সিএনজি চালক নুরুল আলম , গাড়ির চাকা না ঘুরলে পেটে ভাত জুটে না।
লকডাউনের কারণে বেরহতে পারছিনা। লকডাউনের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত শহরের বার্মিজ মার্কেট এলেকা,বাজারঘাটা,ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প এলেকা,লালদীঘির পাড়,হলিডে মোড়,গুনগাছ তলা, কলাতলী মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়,সড়কে কিছু মালবাহী গাড়ী চলাচল করলেও ঘণপরিবহন কোথাও চোখে পড়েনি। তবে কিছু ব্যটারী চালিত রিকশা, টমটম ও কিছু সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
মুদির দোকান ও খাবারের দোকান খোলা থাকলেও হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ ছিল।মানুষের চলাচল ও অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেকটা কম লক্ষ্য করা যায়। সকাল থেকে টহল অভিযানে ছিলেন জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার ১ জুলাই ২০২১