প্রকাশিত: 08/07/2021
সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভা ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক বাহক ও ধনে জনে আলোকিত প্রবাসী অধ্যুষিত একটি জনপদ।এ জনপদে প্রবাসীদের সম্মানে বাংলাদেশের প্রথম কোন স্থাপত্য নিদর্শন “প্রবাসী চত্বর” নির্মিত হচ্ছে।প্রবাসীরা আনন্দে গর্বিত বিশ্বনাথে “প্রবাসী চত্বর” হওয়াতে। এ উদ্যোগকে স্বাগতম ও মোবারকবাদ জানান বিভিন্ন ভাবে উদ্যোগতা ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনুদান প্রদানকারীকে।প্রবাসী চত্বর বাস্তবায়নের লক্ষে বাংলাদেশের রাজনীতির আলোচিত মুখ সিলেট-২ আসনের (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর)এর সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোকাব্বির খাঁন দু’দফায় মোট ছয় লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন। অনুদান প্রদান করায় এলাকাবাসীসহ প্রবাসীরা আনন্দিত ও উৎফুল্লতা প্রকাশ করেন।বিগত কয়েক বৎসর পূর্বে বিশ্বনাথ-লামকাজী সড়কের মধ্যবর্তী রামপাশা রোডের তিন রাস্তার মুখে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি গোল চত্বর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে কয়েক লক্ষ টাকাও ব্যয়িত হয়। তবে শুধু ইটের গাঁথুনী দিয়ে চত্বরটিকে গোল আকৃতি করার মধ্যে সীমিত রাখা হয়। ইটের গাঁথুনী দিয়ে দৃষ্টিনন্দন কিংবা নান্দনিক কিছু করা তো দুরের কথা সামান্যতম প্লাস্টারও করা হয়নি। পরিপ্রেক্ষিতে ধীরে ধীরে ইটের গাঁথুনীগুলি খসে পড়তে থাকে। ফলে স্থানটি হয়ে যায় ময়লা আবর্জনা ফেলার স্থান রুপে।
বিগত ১১ এপ্রিল ২০২১ তারিখে এ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান গোল চত্বর উন্নয়নের জন্য তিন লাখ টাকা প্রদান করেন। এর কয়েকদিন পর বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাস বিশ্বনাথে যোগদান করেন। কাজ পাগল এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজর কাড়ে গোলচত্বরটি।তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেন চত্বরটিকে নান্দনিক রুপ দিতে। সেজন্য তিনি একটি আর্কেটিক কোম্পানীকে ডিজাইন প্রণয়ন করার জন্য দায়িত্ব অর্পণ করেন।কোম্পানীটি বিভিন্ন দেশের মুদ্রা খচিত একটি দৃষ্টিনন্দন ও নান্দনিক স্থাপত্যের প্রাথমিক ডিজাইন প্রদান করে। তাই উক্ত স্থাপত্য নির্মাণের জন্য সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান গত ৮ জুন দ্বিতীয় দফায় আরো তিন লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন। ফলে ইতিমধ্যে বাস্তবায়নের নিমিত্তে কাজও শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান আলাপকালে বলেন, সেই আগরতলা ষডযন্ত্র মামলা থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে, এমনকি দেশের অর্থনৈতিক সংগ্রামে বা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রবাসীরা অবদান রেখে আসছেন।বিশ্বনাথে প্রবাসীদের সম্মানে নির্মিত গোলচত্বরটি করায় প্রবাসীরা আনন্দিত হলে আমাদের প্রচেষ্টা স্বার্থক ও সফল হবে।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাস প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, “আমি বিশ্বনাথে যোগদানের পর গোলচত্বরের দৈন্য দশা দেখে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয় দু’দফায় মোট ৬ লাখ টাকা প্রদান করায় কাজটি দ্রুত শুরু করা সম্ভব হয়েছে। আমরা আশা করছি এ দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য নির্মাণের পর বিশ্বনাথবাসী গর্বিত হবেন এবং প্রবাসীদের কাছে দেশের সুনাম আরো বৃদ্ধি পাবে”।