প্রকাশিত: 08/07/2021
কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা আব্দু রহিমের ছেলে ফারুককে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতা শরীফ কোম্পানির বিরুদ্ধে।
জানা যায়, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামপুর ইউনিয়নের সাম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আগ্রহ প্রকাশ করেন ,২নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা ও সাবেক মহিলা মেম্বার সাহেদা বেগমের বড় ছেলে তরুণ সমাজ সেবক ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহেদুল ইসলাম।
নির্বাচনী প্রচারনা হিসেবে এলাকায় ব্যানার পোষ্টার লাগানোর জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহেদুল ইসলাম। বিভিন্ন সময় ৪ নং ওয়ার্ড থেকে অনান্য কর্মীর ন্যায় ফারুকও ব্যানার পোষ্টার লাগানোর কাজ করেন এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরেক চেয়াম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও ঈদগাহ সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালামের ছোট ভাই,আওয়ামিলীগে
অনুপ্রবেশকারী শরিফ কোম্পানী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহেদের ব্যানার পোষ্টার লাগানোতে বাধা, লাগানো ব্যানার ছিড়ে ফেলা সহ বিভিন্ন ভাবে বাধা সৃষ্টি করতেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বহু অপকর্মের হোতা শরিফ কোম্পানীর বিভিন্ন অপকর্ম পত্র পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হলে সেখানে লাইক কমেন্টস করার জের ধরে ও বুধবার ৭ জুলাই দুপুরে এলাকায় জুয়া খেলা নিয়ে একটা সংবাদ ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে ভাইরাল হলে, সে ভিডিও চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহেদুল ইসলাম এর কর্মীর উপর পূর্ব শত্রুতার জেরধরে ও ভিডিও করে শাহেদ কে পাঠিয়েছে সন্দেহে বুধবার সন্ধ্যায় নতুন অফিস বাজারে অবস্থিত আমিন মেম্বারের মার্কেটের ২য় তলায় একটি কক্ষে বেঁধে রেখে আওয়ামিলীগ নেতা শরীফ কোম্পানির নেতৃত্বে জুয়া খেলা পরিচালনাকারী রমজান প্রকাশ চুরা রমজান, এরশাদ, কামাল হোসেন ও দাদা ফরিদের বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেন আব্দু রহিমের পুত্র ফারুক।
পরে শরীফ কোম্পানির পালিত সন্ত্রাসীরা শরীফের উপস্থিতিতে ফারুককে মারধর করে আহত অবস্থায় সাথে থাকা মোবাইল ফোন চিনিয়ে নিয়ে সেখানে কার কার সাথে তার যোগাযোগ, সে কোন ছবি বা ভিডিও দিছে কিনা সব চেক করেন।
এক পর্যায়ে মোবাইলে কিছু না পেলে কোন সময় শাহেদ কে কোনধরনের এলাকার তথ্য মর্মে ফকিরপাড়া জামে মসজিদে ২ দিনের মধ্যে গিয়ে শপথ করানো সহ ৩০০ টাকার খালী স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এলাকায় ঘটে যাওয়া শরীফ কোম্পানির বিভিন্ন অপকর্ম আড়াল করতে যত টাকা খরচ হয়েছে সবগুলো ফরুকের পরিবার থেকে আদায় করে নিবে মর্মে স্বীকারোক্তি নিয়ে ফরুকের এক প্রতিবেশি ও ৪নং ওয়ার্ডের সাম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী আলীর জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় এলাকার সচেতন মহল রীতিমত বিস্মিত হয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেক ভোটার বলছে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোস্টার লাগালে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সেখানে আমরা সামনের নির্বাচনে কি আশা করতে পারি। এভাবে চললে এলাকায় দিন দিন এই ধরনের বড় ঘটনা ঘটেই যাবে। আমার এর পরিত্রান চাই, আমরা সন্ত্রাস মুক্ত সুন্দর একটি ইসলামপুর চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে,আওয়ামিলীগ নেতা শরীফ কোম্পানির নাম্বারে ফোন দিলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বেধড়ক মারধরের শিকার ফারুক বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।