প্রকাশিত: 14/07/2021
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের পানেরছড়া রেঞ্জের রামু তুলাবাগান এলাকায় বনভুমিতে গড়ে তোলা ৪টি অবৈধ পান বরজ উচ্ছেদ ও ২ হেক্টর বনভুমি উদ্ধারের পর আবারও দখলের চেষ্টায় মেতে উঠেছে দখলবাজ চক্র। বিভিন্ন ভাবে বনকর্মীদের হুমকিও অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ।
গত ১২ জুলাই দুপুরে পরিচালিত বনবিভাগের উচ্ছেদ অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং দখল স্থারিত্ব বজায় রাখতে বনকর্মীদের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে মেতে উঠৈছে দখলে নেতৃত্ব দেয়া কিছু প্রভাবশালী মহল। এমনকি বনকর্মীদের হত্যাসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিবেশবাদীরা বলছে, পানেরছড়া তুলাবাগান এলাকায় দখলবাজরা সক্রিয় থেকে বন ধ্বংস, বনভুমি দখল, বিক্রি ও বনায়ন নষ্ট করার কাজে লিপ্ত থাকায় বনভুমি বেহাত হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের পানেরছড়া রেঞ্জের তুলাবাগান বিট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব বনভূমি জবরদখল মুক্ত করা হয়। সোমবার ১২ জুলাই দুপুরে পরিচালিত অভিযানে এসব বনভূমি দখলমুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
ডিএফও হুমায়ুন কবির জানান, কক্সবাজার এলাকার চিহ্নিত অপরাধী, এলাকার প্রভাবশালী, সরকার দলসহ নানা রাজনৈতিক মতাদর্শের দখলবাজরা বিভিন্ন কৌশলে পাহাড়ের সব ধরনের জমি দখলের অপচেষ্টা চালায়। তারা বনায়নের জমিও বাদ দেয়নি। তেমনিভাবে পানেরছড়া রেঞ্জের তুলাবাগান বনের ভেতর পানের বরজ তৈরি করে দখলে নিয়েছিল চিহ্নিত দখলবাজরা।
সোমবার দুপুরে পানের ছড়া, তুলাবাগান ও খুনিয়াপালংয়ের বনকর্মীরা একযোগে সরকারি বন ভূমিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই হেক্টর বন ভূমি জবরদখল মুক্ত করে বন ভূমি দখলে নেয় বনবিভাগ। গুড়িয়ে দেয়া হয় পাহাড় তৈরি করা পানের বরজগুলো।
স্থানীয় সুত্র ও বনবিভাগ সুত্র জানায়, স্থানীয় নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হোসেন , নুরুল হাকিম ও মো. আবু তালেব সহ সংঘবদ্ধ দুবৃত্ত তুলাবাগান বনবিটের জমি দখল ও বিক্রি করেছে। তারা প্রথমে পানের বরজের নামে দখল করে, পরে তা বিক্রি করা হয়। এধরনের অভিযোগ অহরহ রয়েছে।
সুত্র আরো জানায়, দঝলবাজ চক্র বিভিন্ন ভাবে বনকর্মীদের হুমকিও অব্যাহত রেখেছে । অপ্রীতিকর ঘটনা সংগঠিত করার জন্য সংঘবদ্ধ হয়েছে। মানববন্ধনের নামে দখলদারিত্ব বজায় রাখার কৌশল ও বনকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বনবিভাগের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার চেস্টায় লিপ্ত রয়েছে বলেও অভিযোগ।পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান টগর বলেন, পানেরছড়া বিটে ৩৩৯৭ একর বনভূমির ৬৬ একরের বেশি জমিতে অবৈধ দখলদার রয়েছে। যেখানে রয়েছে বসতঘর ও পানের বরজ। বনভূমিতে নতুন বরজ না করতে নির্দেশ আছে। সেটি জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তবুও নির্দেশনা না মেনে যারা বরজ করছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। বনভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান টগর।