জীবন জীবিকা সচল রাখতে অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে যাচ্ছে ব্র্যাক !

জীবন জীবিকা সচল রাখতে অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে যাচ্ছে ব্র্যাক !

দেশে বিরাজ করছে ভয়ঙ্কর রূপে করোনাভাইরাস। করোনা শুরু থেকেই দেশের মানুষকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করেছে। জীবনজীবিকাকে সচল রাখার অর্থনীতির চাকা অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাগুলো বন্ধ করলেও, বন্ধ করেনি দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ব্র্যাকের আঞ্চলিক কার্যালয়। করোনার শুরু থেকেই অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ঋণ, কৃষি ঋণসহ সঞ্চয়ের টাকা প্রদান করছেন তারা। 
    ফুলবাড়ী ব্র্যাকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধিনস্থ কর্মএলাকা ফুলবাড়ী, বিরামপুর, হাকিমপুর, নবাবগঞ্জ ও পার্বতীপুরের ভবানীপুরে ৭৬ সদস্যের মাঝে প্রায় ৩ লাখ টাকার সঞ্চয় প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ৮জন মৃত সদস্যের পরিবারকে ১০ হাজার টাকার বিমা সুবিধা প্রদান প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। 
    ফুলবাড়ী ব্র্যাকের আঞ্চলিক কার্যালয় শুধু আর্থিক সুবিধা দিয়েই থেমে যায়নি। ব্র্যাক কর্মীরা করোনা সংক্রামণের প্রথম থেকেই মাস্ক, লিফলেট বিতরণ, প্রতিবন্ধী, নির্যাতিত নারী, আদিবাসী, গর্ভবতী মা, অতিদরিদ্রদের অর্থ সহায়তা, মানবাধিকার ও আইন সহায়তা, যক্ষা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ প্রদান, নিজস্ব কৃষকের বীজ প্রদান করে ভালোমানের বীজ তৈরি করে ন্যায্য মূল্য ক্রয়সহ কোভিড-১৯ সম্পর্কে সুবিধাভোগীদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও খোঁজ-খবর রাখছেন। ইতোমধ্যে দুঃসময়ে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখাসহ এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণে প্রশংসা কুড়িয়েছে ব্র্যাক। 
    ব্র্যাকের সুবিধাভোগী ফুলবাড়ী পৌরএলাকার কৃষ্ণপুর গ্রামের শিউলি বেগম ও শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর জাফরপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, করোনার কারণে আর্থিকভাবে পঙ্গু হয়েছে বহুপরিবার। তাদের মধ্যে বাদ পড়েন’নি তারাও। অন্যান্য এনজিওরা করোনাকালে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে কিস্তি আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠলেও তা না করে দরজা খোলা রেখে ব্র্যাক। তারা ঋণপ্রদানসহ সঞ্চয়ের টাকা বিকাশে প্রদান করছেন। তাদের কার্যক্রম প্রথম থেকেই প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাদের আন্তরিকতায় আমরা মুগ্ধ। 
    নবাবগঞ্জের সুবিধাভোগী নাহার বানু ও আমবাড়ীর সুবিধাভোগী শাবানা সুলতানা বলেন, শুধুই ঋণ প্রদান নয়। ঋণ প্রদানের পাশাপাশি সার্বিক খোঁজখবর রেখেছেন ব্র্যাকের ভাইরা। তারা ঋণ আদায়ে কখনো চাপ প্রয়োগ করেন’নি। একে করোনার এই দুঃসময় তারওপর কোরবানি ঈদ। ঈদ পালন নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলাম। কাউকে কিছু বলতে পারছিলাম না। হঠাৎ দেখি ফোনে বিকাশ থেকে মেসেজ ঢুকেছে। পরে ব্র্যাকের এক ভাই ফোন দিয়ে জানান ৫ হাজার টাকা সঞ্চয়ের দেয়া হয়েছে। না চাইতেই তারা দুঃসময়ে সঞ্চয়ের টাকা প্রদান করছেন। তারা সেটি এইমুহূর্তে প্রদান না করলে ঈদ করা সম্ভব হতো না। 
    ব্র্যাকের ফুলবাড়ী আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (দাবি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসাইন বলেন, অন্যান্য সংস্থাগুলো এই মহামারী সময়ে মুখ ফিরিয়ে নিলেও দরজা খোলা রেখেছে ব্র্যাক। সরকারের বিধিনিষেধ মেনেই কাউকে কিস্তি পরিশোধে চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। বরঞ্চ আরো ঋণ প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৭৬ জন সদস্যের বিকাশ নাম্বারে প্রায় তিন লাখ টাকা ঢুকেছে। আরো প্রক্রিয়াধিন রয়েছে তা ঈদের আগেই ঢুকে যাবে। এছাড়াও ৮ জন মৃত সদস্যের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে বিমা প্রদান করা হবে। আমাদের এধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। 
 

আরও পড়ুন

×