বেনাপোল চুরি পট্টিতে অগ্নিকান্ড।।  ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থ ও মালামাল পুড়ে ছাই।

বেনাপোল চুরি পট্টিতে অগ্নিকান্ড।।  ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থ ও মালামাল পুড়ে ছাই।

যশোরের বেনাপোল বাজারের চুরিপট্টি এলাকায় আকস্মিক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। শনিবার(১৭জুলাই) সকাল আনুমানিক ৫.৩০ মিনিটে এই অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনা স্থলে পৌঁছে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে অগ্নিকান্ড এলাকায় পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

স্থানীয়রা জানান, ভোর ৫.৩০ মিনিটের দিকে কাঁচাবাজারের চুরিপট্টি এলাকায় অবস্থিত একটি চায়ের দোকানে বিকট শব্দ হলে মূহুর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায়। পরে ঐ আগুনের লেলিহান শিখা দাও দাও করে জ্বলতে থাকে ও পাশ্ববর্তী দোকান গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

ঐ এলাকায় একটি গার্মেন্টেস এর দোকান সহ প্রায় ২০-২৫টি কসমেটিক্স,২/৩ টি সুতার দোকান ও ৭/৮ টির মতো মুদি ও পান দোকান রয়েছে।

প্রজ্বলিত অগ্নিকান্ডের মুখে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস, কাঁচা বাজারের লেবার ও ক্ষতিগ্রস্থ দোকানিদের স্বজনদের সহযোগীতায় তালা ভেঙ্গে অন্যান্য দোকানের মালামাল উদ্ধার করা গেলেও ৪/৫টি দোকানের মালমাল সম্পূর্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

সম্পূর্নরুপে আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গুলো হলো স্টেশনারী দোকান রাসেল স্টোর, রহিম স্টোর, একটি গার্মেন্টস দোকান ও ১টি চায়ের দোকান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেন।

বেনাপোল বাজার কমিটির সেক্রটারী ও বেনাপোল ইউপি চেয়ারম্যন বজলুর রহমান বলেন, আনুমানিক কয়েক কোটি টাকার পণ্য ও নগদ অর্থ পুড়ে ছাই হয়েছে। সঠিক তদন্তে বেরিয়ে আসবে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান। তবে আগুন আরো দ্রুত নিয়ন্ত্রনে এসেছে বাজারের পাশে একটি খাল ছিল। সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট পানি সংগ্রহ করতে পেরেছে।

বেনাপোল ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ রোকন কুমার দেবনাথ গন্যমাধ্যম কর্মীদের জানান, আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে ও ড্যম্পিং এর কাজ চলছে। অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে জানানো হবে।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলীফ রেজা বলেন, কি ভাবে আগুন এর সুত্র পাত হয়েছে এবং কত টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত না করে এই মুহুর্তে বলা সম্ভব না।
 

আরও পড়ুন

×