প্রকাশিত: 28/07/2021
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর আলোচিত সেই তেল বিক্রেতা বৃদ্ধা জছিমন বিবিকে (৯০) তার পরিবারের দাবি অনুযায়ী কবিরাজি চিকিৎসা প্রদানসহ পুষ্টিকর খাবার দিলেন দৈনিক দেশ মা পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনন্দ কুমার গুপ্ত।
গতকাল বুধবার ফুলবাড়ী উপজেলার ৩নং কাজিহাল ইউনিয়নের রসুলপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে জছিমন বিবির বাড়িতে কবিরাজ সাথে নিয়ে যান আনন্দ কুমার গুপ্ত। পরে তার কবিরাজি চিকিৎসাসহ পুষ্টিকর খাবার তুলে দেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক দৈনিক আজকালের খবর প্রতিনিধি ও দৈনিক দেশ মার ভারপ্রাপ্ত বার্তা সম্পাদক প্লাবন শুভ, সাংবাদিক লিটন সরকার প্রমুখ।
জছিমন বিবির পুত্রবধূ আরজিনা বেগম বলেন, এটি বাউছালী নামক একটি রোগ। সেই রোগে আমার শাশুড়ি জছিমন বিবি আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোপূর্বে অনেকের এই রোগ কবিরাজি চিকিৎসায় ভালো হয়েছে। কিন্তু আমাদের আর্থিক অনটন থাকায় সেই চিকিৎসাও করতে পারছিলাম না। কিন্তু ভদ্রলোক আনন্দ গুপ্ত বিষয়টি সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পেয়ে তিনি কবিরাজ সাথে নিয়ে আমাদের বাড়িতে হাজির হন। এবং আমার শাশুড়িকে ঝাঁড়ফুকসহ চিকিৎসার তেল দেন। সেই ঝাঁড়ফুকের পর থেকে শাশুড়ি জছিমন বিবি কথা বলতে পারছেন। আগামী তিনদিন সময় নিয়েছে কবিরাজ। এতে ভালো নাহলে উন্নতমানের চিকিৎসা দেওয়ারও আশ^াস দিয়েছেন আনন্দ গুপ্ত।
জছিমন বিবির প্রতিবেশি লুৎফুন বেগম বলেন, জছিমন বিবির যে সমস্যা তা কবিরাজি চিকিৎসাতেই ভালো হওয়ার কথা। ইতোপূর্বে অনেকের এই রোগ কবিরাজি চিকিৎসায় ভালো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে জছিমন বিবিও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
দৈনিক দেশ মা পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনন্দ কুমার গুপ্ত বলেন, আমি উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু তার পরিবারের দাবি কবিরাজি চিকিৎসায় জছিমন বিবি সুস্থ হয়ে উঠবেন। বিষয়টি জানতে পেয়ে কবিরাজ নিয়ে জছিমন বিবিকে কবিরাজি চিকিৎসাসহ পুষ্টিকর খাবার দিয়েছি। পূর্বে জছিমন বিবি কথাও বলতে পারছিলেন না কিন্তু কবিরাজের ঝাঁড়ফুকের পর তিনি কথা বলছেন। এতে পরিবারের সকলে খুব আনন্দিত। আগামী শুক্রবারের মধ্যে তার অবস্থা উন্নত না হলে উন্নতমানের চিকিৎসা দেয়া হবে।
ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক দেশ মা সম্পাদক প্রভাষক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, জছিমন বিবির ঘটনাটি খুবই আবেগঘন। জছিমন বিবি এতোদিন কষ্টে থাকলেও কারো চোখে পড়েনি। কিন্তু পত্রপত্রিকার ঘটনাটি প্রকাশের পর সকলে আবেগ প্রকাশ করছেন। আনন্দ কুমার গুপ্তের উদ্যোগে আসলেই প্রশংসনীয়। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জছিমন বিবিকে সুস্থ করতে তার সহযোগিতার হাত অব্যাহত থাকবে।