নড়াইলে শিশু মহিমা খুন দাদা-দাদিসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মামলা!! 

নড়াইলে শিশু মহিমা খুন দাদা-দাদিসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মামলা!! 

মাকে মারপিট করে কোল থেকে শিশু মহিমাকে (২) কেড়ে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে শিশুকে পুকুরে ফেলে খুন করা হয়েছে।এ ঘটনায় দাদা, দাদি, চাচা ও এক মসজিদ কমিটির সভাপতিসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। দিবাগত রাতে নড়াইলের কালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত মহিমার মা তাছলিমা বেগম। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হাড়ীডাঙ্গা গ্রামে এহত্যার ঘটনা ঘটে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, পুলিশ জানায়, নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের হারুনার রশিদের মেয়ে তাছলিমার সঙ্গে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হাড়িডাঙ্গা গ্রামের ছাদিয়ার থান্দারের ছেলে মাহামুদ থান্দারের প্রায় দশ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মাহামুদের পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবিতে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। ইতিমধ্যে মাহামুদ ভাগ্যের চাকা ঘুরানোর জন্য সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। স্বামী বিদেশে  কর্মরত থাকার সুযোগে তার স্ত্রী তাছলিমাকে মাহামুদের ভাই শামীম থান্দারসহ পরিবারের লোকজন নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। তারই জের ধরে ওইদিন সকাল ১০ টার দিকে মাহামুদের বাবা ছাদিয়ার ও ভাই শামীমসহ পরিবারের লোকজন তাছলিমাকে বেদম মারপিট করে ২ বছরের শিশুকন্যা মহিমাকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।ওই ঘটনায় তাছলিমা নড়াইলের কালিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে নড়াইলের কালিয়া থানা পুলিশ ঘটনার তদন্তসহ মাহিমাকে উদ্ধার করতে শামীমদের বাড়িতে গিয়ে মাহিমার খোজ জানতে চাইলে বাড়ির লোকজন তার সঠিক সন্ধ্যান না দেয়ায় পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে খোজখুজি শুরু করে। খোজাখুজির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি পুকুরের থেকে পুলিশ মহিমাকে উদ্ধার করা হয়। তাকে নড়াইলের কালিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। তাছলিমার অভিযোগ তাকে তাড়িয়ে দিয়ে তার শিশুকন্যাকে আসামীরা যোগসাজসে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যা করেছে। শিশু সন্তান হত্যার ঘটনায় তাছলিমা বেগম নিহতের দাদা ছাদিয়ার থান্দার, দাদি সামেলা বেগম, চাচা শামীম থান্দার ও নড়াইলের কালিয়া সদর বাজার জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি পান্নু থান্দারসহ ৮জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ মামলার আসামী ওই গ্রামের নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বোচা থান্দারের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে। নড়াইলের কালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইকরাম হোসেন বলেন,‘মাহিমা হত্যা ও তার মা তাছলিমাকে মারপিট করে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ৮জনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। রোজিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন

×