নড়াইলে গৃহবধূকে নির্যাতনরে অভিযোগে,আটক-১

নড়াইলে গৃহবধূকে নির্যাতনরে অভিযোগে,আটক-১

এক গৃহবধূকে নির্যতন এবং তার শিশু কন্যাকে হত্যারপর পানিতে ফেলে দেওয়ার অভিাযোগ পাওয়া গেছে। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হাড়ীডাঙ্গা গ্রামের মাহমুদ থান্দারের বাড়ীর পুকুর থেকে পুলিশ দু’বছরের শিশু মাহফুজার (মাহি)’র লাশ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল। এ হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে রোজিনা(৪০) নামে এক মহিলাকে পুলিশ আটক করেছে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার ডুমুরিয়া গ্রামের হারুন অর রশীদের কন্যা মোসা.তাছলিমা বেগমের (২৭) সঙ্গে ১০বছর পূর্বে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার উপজেলার হাড়ীডাঙ্গা গ্রামের সাদিবার থান্দারের ছেলে মাহমুদ থান্দারের বিয়ে হয়।মাহমুদের পরিবার শুরু থেকে এ বিয়ে মেনে নেয়নি বলে জানা যায়। অপরদিকে তাছলিমার স্বামী মাহমুদের সঙ্গে আটককৃত রোজিনার দীঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেম চলে আসছে বলে মাহমুদের স্ত্রী অভিযোগ করেন। এরই জের ধরে মাহমুদের পরিবার প্রায় তাছলিমাকে যৌতুকের বিষয় এবং তুচ্ছ ঘটনায় মারধোর করে আসছিল। সর্বশেষ সকাল ১০টায় তাছলিমার শশুরবাড়ীর লোকজন তাকে মারধোর করে শিশুকন্যা মাহফুজাকে কেড়ে নিয়ে তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।এরপর তাছলিমা থানায় অভিযোগ করে।পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জীবিত শিশু কন্যার জায়গায় মৃত শিশুর দেহ দুপুরে ওই বাড়ীর পুকুরের পানির মধ্য থেকে উদ্ধার করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। শিশুকন্যা মাহমুজার মাতা মোসা.তাছলিমা বেগমের অভিযোগ তার কন্যাকে তার শশুরবাড়ীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ওসি তদন্ত ইকরাম হোসেন বলেন,‘অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।এ বিষয়ে অধিক তদন্ত চলছে। ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে।প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে,এটি হত্যাকান্ড।

আরও পড়ুন

×