প্রকাশিত: 17/02/2020
প্রথম পর্ব:
কবি মিজানুর রহমান মিজানের অটোগ্রাফ ডায়েরী থেকে নেয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মন্তব্য
হাসনু-হেনার মত তোমার নামের সৌরভে বিমোহিত হোক চারিদিক, দিগন্তে সূর্য যেমন দৃপ্ত তেজে ভাস্বর।তোমার প্রতিভা ও যেন তেমনি স্বীয় মহিমায় হয়ে উঠুক অনির্বান। এ নশ্বর পৃথিবীতে আমরা সকলেই ক্ষণিকের যাত্রী। কিন্তু তার কীর্তি অবিনশ্বর। তাই সর্ব শক্তিমানের কাছে প্রার্থনা এই মানব প্রজন্ম তোমার অবদানে সার্থক হোক। জীবনের পথ পরিক্রমায় তোমার যাত্রা হোক কুসুমাস্তীর্ণ।
মো: আলতাফুর রহমান (ছাদ মিয়া)
ব্রাঞ্চ ইন-চার্জ, ন্যাশনাল ক্রেডিট ব্যাংক লি:, চৌহাট্রা, সিলেট।
তারিখ ২৮/১১/৮৯খ্রি:
বর্তমানে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ভি.পি।
মিজান,
বস্তুতান্ত্রিকতায় আজ এদেশে এমন এক পর্যায়ে আমাদের প্রতিটি জীবনকে দ্বান্ধিক প্রতিযোগিতায় নিয়ে এসেছে যেখানে আজ আর তেমন কেউ অটোগ্রাফ নিয়ে স্মৃতিকে ভারী করতে চায় না। তবুও সব জীবন এক রঙের হয় না। এ ভরসাই জীবনকে স্বপ্ন দেখায়। এটাই ইতিবাচক। এই ইতিবাচক প্রত্যাশায়ই বলা যায়, জীবনের চলমাতায় হারিয়ে যায় মানুষ, তেমনি পথচারী আমিও।
তোমার সর্বাঙ্গীন কুশল কামনা করি।বিস্মৃত মধুময় অতীতের অরণ্য থেকে মাঝে মাঝে হারানো সুরগুলো যেন মনকে সতেজ রাখে, এ কামনা করি।
শুভ কামনায়
মুহিবুর রহমান কিরণ
১৪/১১/৮৯ খ্রি:
সাবেক প্রভাষক বাংলা বিভাগ, জকিগঞ্জ সরকারি কলেজ,বর্তমানে কাস্টমস ইন্সপেক্টর।
চেরী ফুলের ফাগুন আসে
যেমন করিয়া,
আসিব তোমার মাঝে
তেমন করিয়া।।
মহাকালের পাখনায় শেষ হয় প্রতিটি সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, দিন, সপ্তাহ, মাস ক্রমান্বয়ে বৎসর। কোন দিনের এক বিশেষ স্মৃতিকে রক্ষা কল্পে জাগ্রত হয় মানুষের চিন্তা, ভাবনা। তাহারই স্মৃতি রক্ষার্থে জীবন শুরুর নব উদ্দিপনা।মিজান আমার কাছে একটি শ্বাশ্বত উদ্দিপনার নাম। জীবনের চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী এক আসে, এক যায়। কিন্তু আমাদের সম্পর্কটি যেন এই নিয়ম মানতে চায় না। তাই প্রতি মুহুর্তগুলি যেন একে অন্যকে একান্ত ভাবে আলাপ আলোচনায় মাতিয়ে রাখতে চাই।অনেক দুরে থেকেও যেন মনে হয় একান্ত কাছেই আছি। তোমার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি। এ প্রসঙ্গে একটি লাইন আমার মনে পড়ে গেল।Determination is key to success.আশা করি তুমি সাফল্যতা অর্জন করবে।
আলী আহমদ
৯/১১/৮৯খ্রি:
অধ্যাপক বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজ।
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। এক আপনজনের নাম। সত্য ও সুন্দরের অতি অনুরাগি এক মানুষ। পাশের গ্রামের লোক হিসাবে তাঁর কর্মকান্ড যতটুকু প্রত্যক্ষ করেছি তাতে সমাজের একজন সচেতন নাগরিক হিসাবেই পেয়েছি। একজন সমাজ সেবী যুবক হিসাবেই তাঁর সাথে আমার হৃদয়ের পরিচয় ঘটেছে। যেহেতু বিশ্বাসই মানুষের কর্মকান্ডের উৎস। সে মতে উনি মহানবী (স:) এর ছাহাবা, তাবেঈন তথা ছলফে ছালেহীনের পথ ও মতের একজন একনিষ্ট পথিক ও অনুসারি এ আমি আশা করি। যেহেতু অঙ্গন আলোকিত করতে উনি সূর্যালোকের প্রতি দেয়াল তুলতে পারেন না। আল্লাহ তাঁকে দু’জাহানে সম্মানিত করুন।আমিন
আবু তাহির মুহাম্মদ হুসাইন
তেলিকুনা, ২৮/১০/৮৯খ্রি:
বর্তমানে অধ্যক্ষ জামেয়া এ- ইসলামিয়া তেলিকুনা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।
আমি রাজাগঞ্জ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় কর্ম জীবনে ঢুকেই এমন ব্যক্তিত্বশীল নামের সাথে পরিচিত হলাম যাকে আমি কোনদিন দেখিনি। লোক মুখে প্রশংসার পাত্র “মিজান” এই নামটির সাথে পরিচিত হলাম। শুধু নামের সাথে পরিচিত নয়, চিঠির মাধ্যমে হলাম আপনজনের মত। এই মাদ্রাসার জন্য তিনি সুদুর প্রবাসস্থল জেদ্দা নগরী থেকে যা করেছেন তা লিখতে প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। যাঁর অবদান বর্তমান উত্তর বিশ্বনাথ হাফিজিয়া মাদ্রাসার ঘর নির্মিত দালানগৃহ। শুধু তাই নয় খোদার অপার মহিমায় একদিন তিনি ফিরে আসেন স্বদেশে। সাক্ষাতে যেয়ে হলাম বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। জানতে পারলাম তিনি একজন প্রবীণ সাংবাদিক, মানূষ গড়ার কারিগর, সমাজ সেবক, সত্যের সাধক, এক আদর্শ নবী প্রেমিক। যাঁকে কোনদিন ভুলার নয়। দোয়া করি কাঁচের মত স্বচছ ও ফুলের মত উজ্জল হয় যেন তাঁহার ভবিষ্যৎ এবং সত্যের সংগ্রামে জীবন হয় যেন অমর তারই কামনা করি প্রভু নিরঞ্জন।
আখলাক হোসেন ও সুমন বিপ্লবের সম্পাদিত পল্লী আঁধারে একটি রবি” গ্রন্থের অংশ বিশেষ