প্রকাশিত: 25/02/2020
বিশ্বনাথের আয়াছ মিয়া: আলো ছড়াচেছন বৃটেনে মিজানুর রহমান মিজান
বিশ্বনাথের আয়াছ মিয়া: আলো ছড়াচেছন বৃটেনে
মিজানুর রহমান মিজান
এ পৃথিবী একটি আসা-যাওয়ার খেলাঘর। এক আসে এক যায়। চলছে একটা নদীর প্রবাহমানতা সমতুল্যে। আসলে যেতে হবে তা নির্ধারিত। নেই ব্যতিক্রম, নেই ব্যত্যয়। তবে কারো ক্ষেত্রে থাকে কেউ আগে, কেউ একটু পিছনে। আসার একটা সিরিয়াল দেখতে পেলেও যাবার ক্ষেত্রে নেই সিরিয়াল। পৃথিবীতে স্বল্পকালীন স্থায়িত্বতা। এ ক্ষণ-স্থায়িত্বতাকে আমরা অবহেলা , অযতেœ অনেকেই ব্যয় করে থাকি। প্রথম দিকে ভাবিনা একটুও। শেষার্ধে ভাবলে কি আর সময় পাই। করছি, করবো করে হয়ে যায় ব্যয়িত। এক কথায় বলা যায় অমরত্বের কোন প্রকার সুযোগ নেই বিন্দু পরিমাণ। তাইতো আমি বলি ,“ বাবা গেল, দাদা গেল, কেবা কোথা র’ল, আমি যাব, তুমি যাবে, না ভাবিয়া আমার আমি করল।” আমার আমিত্বের বড়াই, মিছে সকল লড়াই, অস্বস্থিত্বের বিলীনতাই দেখি দু’চক্ষু মুদিয়া। তবে এ ভবে অমরত্বের সুযোগ ও রয়েছে। কি ভাবে, কেমন করে, তা আমাদেরকে জানতে হবে। আল হাদিছে বলা হয়েছে, “যার দ্বারা মানবতা উপকৃত হয়,তিনিই মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ”। অন্যত্র বলা হয়েছে, “যে মানুষ কুশিক্ষা পেয়েছে, সে মানুষ নিকৃষ্ট। আর যে মানুষ সুশিক্ষা পেয়েছে, সেই মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ।” প্রখ্যাত ব্যক্তি ভিক্টোর হিউগোর মতে, “যে দেখে না, সে কাঁদেও না”এবং ইতালীয় প্রবাদ আছে,“ ভাল চোখ থাকে অনেকেরই, কিন্তু কিছুই দেখে না”। তাই আমি বলতে চাই কারলাইলের উক্তিটি,“ জীবন চরিতই এক মাত্র সত্যিকারের ইতিহাস”। পৃথিবীতে মানুষ তাঁর কর্মময় জীবনের মহত্ব,অধ্যবসায়, পরিশ্রম, উদার,সততা, ধৈর্য, সহনশীলতায় অন্যতম আসনে সমাসীন হন। সুখ্যাতির একটা স্থায়ী আসন লাভ করেন মানব মনে। নান্দনিকতার সুস্পষ্ট চাপ থাকে বিদ্যমান উদাহরণ সৃষ্টির বাস্তবতা পরিলক্ষিত দীর্ঘদিন দিবালোকের ন্যায় সত্যের ও সুন্দরের পুজারী হিসাবে। স্বতন্ত্র মর্যাদায় হন সিক্ত স্ব-মহিমায় বা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানবের আদর্শ অনুসারী হিসাব রক্ষণাবেক্ষণকারীর তালিকায়। আমাদের আজকের নিবন্ধের ব্যক্তিত্ব সে তালিকার অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচ্য সর্বতোভাবে। তাই কলম ধরলাম কাগজের বুকে আঁচড় বসাতে। আল্লাহ মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে কায়মন বাক্যে প্রার্থনা করছি তওফিক প্রদানের।
বিশ্বনাথ উপজেলার ধরারাই ( মোল্লা বাড়ি) গ্রামের বাসিন্দা জনাব হাজী আবুল হোসেন ও মোছা: পিয়ারা বেগম দম্পতির গর্বিত সন্তান মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া দেশে এস এস সি পাশ করে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। সেখানে এ ”লেভেল” , বি এ (অনার্স) ও মাষ্টার্স পাশ করে ২০০২ সালে এসিসিএ ( চার্টাট একাউন্টেন্সী ) মা , বাবা ও সহোদরদের সহযোগিতায় পাশ করেন এবং আত্মীয়-স্বজনের অনুপ্রেরণায় ঐ বৎসরের শেষ দিকে ষ্টেপনী গ্রীণ এলাকার বেনজনসন রোড়ে এম একাউন্টেন্সী সার্ভিসেস চালু করেন। আয়াছ মিয়া হচেছন ব্রিটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটি থেকে সবচেয়ে কম বয়সী চার্টাট একাউন্টেন্ট ডিগ্রী অর্জনকারী সৌভাগ্যমান তরুন। এ ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সাফল্য অর্জনে সক্ষমতা লাভ করেন। তিনি একাউন্টিং , অডিটিং , বুক কিপিং , ট্যাক্স ও ভ্যাট কনসালটেন্সী বিজনেস প্লানিং , সেলস এসেসমেন্ট , সোল ট্রেডিং , লিমিটেড কোম্পানী , কোম্পানী ফর্মেশন , ক্যাশ ফ্লো ফোর কাষ্ট ও বাজেট তৈরী করণসহ নানাবিধ অর্থনৈতিক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সততা , নিষ্টা , দক্ষতার সহিত সার্ভিস প্রদানের জন্য ব্যবসার উন্নয়ন ও সুনাম বৃদ্ধি পায় ক্রমশ:। অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সহিত সেবা প্রদান করাই তার কাছে সবচেয়ে প্রিয় মনে করেন।অপরাপর একাউন্টেন্টের চেয়ে অল্প দিনে বেশী গ্রাহক প্রাপ্তিতে সাফল্য পেতে অনায়াস লব্ধ হয়ে উঠে। পেশাগত দক্ষতা ও অবদানের নিমিত্তে ২০০৬ সালের ফেব্রæয়ারীতে ” চ্যানেল এস ” একাউন্টেন্সী প্র্যাকটিসের জন্য এওয়ার্ড প্রদান করে জনাব আয়াছ মিয়াকে সম্মান প্রদান করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সহিত ওতোপ্রোত ভাবে জনাব আয়াছ মিয়া সম্পৃক্ত থেকে ” মানবতার জন্য মানুষ ” হিসাবে সুনামের , সুখ্যাতির অধিকারী। তিনি বর্তমানে বিশ্বনাথ এইড ইউকে’র সহ-সভাপতি, হিউমান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র ইউকে শাখার জেনারেল সেক্রেটারী, গ্রেটার সিলেট ডেভেলাপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল সাউথ ইষ্ট রিজিওনের মেম্বার , সাউথ পপলার ভিক্টিম গ্রæপের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান , মাদারটাং স্কুলের জেনারেল সেক্রেটারী , চেয়ার ওসেন বিজনেস এসোসিয়েশন লন্ডন এডভাইজার , দশ ঘর প্রগতি সোসাইটি’র ট্রাষ্টি , বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাষ্ট’র সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সফলতার সহিত পালন করছেন। তিনি দশঘর প্রবাসী সোসাইটির উপদেষ্টা ছিলেন। তাছাড়া দশঘর প্রবাসী ট্রাষ্টের বর্তমানে ট্রাষ্টি, সে সাথে মাদানিয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রাস্টি, বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এর সম্মানিত সদস্য হিসাবে দায়িত্বরত রয়েছেন। তিনি একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও। ষ্টেপনী গ্রীণ এবং পপলার এলাকায় লালবাগ ১ , ২ নামে দু’টি ক্যাশ এন্ড ক্যারি নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক। এছাড়া নিউবেরী পার্কে আছে ” স্পাইস ” টেইক ওয়ে।
২০১৪ সালে তিনি স্থানীয় নিব্র্াচনে লেবার পার্টির হয়ে কাউন্সিলার হয়ে চমক সৃষ্টি করেন তরুন এ একাউন্টেট। টাওয়ার হ্যামলেটস লেবারের দুর্দিনে বিজয়ী হয়ে আসতে পারায় পার্টি তাকে মুল্যায়ন স্বরুপ দলের মিডিয়া এবং কমিউনিকেশন অফিসারের দায়িত্ব প্রদান করে। টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার গ্রæপের আটজনের এক্সিকিউটিব কমিটির এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে যান।অত:পর কাউন্সিলের বাজেট অধিবেশনে লেবার পার্টির পক্ষ থেকে তিনি বাজেট পেশ করেন। ২০১৪-১৫ সালে তিনি স্থানীয় লেবার পার্টির বােেজট স্পুকম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। যুক্তরাজ্য লেবার পার্টির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সাথে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। ২০১৫ সালের উপনির্বাচনে লেবার পার্টির মেয়র জন বিগস নির্বাচিত হন এবং তিনি ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করে জনাব আয়াছ মিয়ােেক পরিবেশ ও পরিবহন কেবিনেট সদস্য হিসাবে দায়িত্ব অর্পণ করেন।এ সময় তিনি তার উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করেন। তিনির বাজেট ছিল ৫৬ মিলিয়ন পাউন্ড। অতিরিক্ত বাজেট প্রনয়ণের মাধ্যমে সার্ভিসগুলোকে আরো উন্নত করতে সক্ষম হন। লন্ডনের অন্যান্য কাউন্সিলে টাওয়ার হ্যামলেটস’র প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হন। লন্ডন মেয়র সাদিক খানের সিটি হলের পরিবেশ ও বায়ু দুষণ উন্নয়নে কমিটির মিটিং এ অংশ গ্রহণ করেন। টাওয়ার হ্যামলেটস’র বায়ু দুষণ থেকে পরিত্রাণ পেতে সিটি হল থেকে ১ মিলিয়ন পাউন্ড আদায় করতে সক্ষম হন। প্রথম বছর কেবিনেট মেম্বার হিসাবে সফলতার স্বাক্ষর রাখায় দ্বিতীয় বছরে মেয়রের পক্ষ থেকে তাকে অতিরিক্ত বিভাগের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। স্পোর্টস এন্ড ফিজিক্যাল এ্যাকটিভিটিজ এর দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৭ সালে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে তাকে ডেপুটি স্পীকার হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। সাথে সাথে তাকে গর্ভনেন্স এন্ড ডেমোক্রেটিক সার্ভিসের লীড মেম্বার করা হয়। এ দায়িত্বের অন্যতম হলো নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পূর্ববর্তী কাজগুলো সঠিক ভাবে হচেছ কি না তা তদারকি করা এবং ব্রেকসিটের পরবর্তীতে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে কি ধরণের সমস্যা হবার সম্ভাবনা তা চিহ্নিতকরে তা থেকে উত্তোরণের লক্ষ্যে সর্বদলীয় কাউন্সিলর ও বিভিন্ন বিভাগের ডাইরেক্টরদের নিয়ে কমিটি করে একাধিক মিটিং করার মাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রদান করা। আর এ সকল মিটিং এ লীড মেম্বার হিসাবে তিনি সভাপতিত্ব করেন।
২০১৮ সালের স্থানীয় নির্বাচনে ১২ জন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্ধী থাকা সত্তে ও তিনি বিপুল ভোেেট পুনরায় (সর্বোচ্চ ) তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তখন সর্বসম্মতি ক্রমে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় কাউন্সিলের সর্বোচচ পদ স্পিকার (সিভিক মেয়র) নির্বাচিত হন। স্পিকারের দায়িত্ব প্রাপ্তির সাথে সাথে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে তিনি ফাস্ট সিটিজেনশীপ লাভ করেন। প্রতিটি কাউন্সিলে দু’টি দিক থাকে। একটি সিভিক অন্যটি প্রশাসনিক। সিভিক সাইটের প্রধান হিসাবে স্পিকার সর্বদায় বিবেচ্চ্য হন। যার ফলশ্রæতিতে কাউন্সিলের প্রতিটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার গৌরব অর্জন করেন। প্রতিটি অধিবেশন সুন্দর ও সঠিক ভাবে চলার, সকল কাউন্সিলররা অধিবেশনে যাতে আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করতে পারেন তা নিশ্চিত করা, বিভিন্ন কাউন্সিলে টাওয়ার হ্যামলেটস’র এম্বেসেডর হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করা। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলকে প্রমোট করা, বিদেশী ভিআইপি অতিথিদেরকে (মন্ত্রী, এমপি, ও মেয়র ) স্বাগত জানানো এবং তাদেরকে নিয়ে মতবিনিময় করা। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত জাহাজ ও নৌ-বাহিনীদেরকে স্বাগত জানানো। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্ব করা, বৃটিশ সিটিজেনশীপ প্রাপ্তদের হোম অফিস থেকে যে সার্টিফিকেট দেয়া হয় তা হস্তান্তর করা। রয়েল ফ্যামিলী থেকে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানো ইত্যাদি। বাংলাদেশী বংশভুত হিসাবে স্পিকার হবার কারনে শীঘ্রই তিনি অফিসিয়েল ভাবে বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিবর্গের সাথে সাক্ষাৎ করার আশা পোষণ করেন। তিনি সকলের দোয়া প্রার্থী। যাতে মানুষের সেবা করে যেতে পারেন। অসাধারণ কর্মকান্ডের কঠিন প্রতিযোগিতায় তিনি অভুতপূর্ব সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে নিজে ধন্য ও আলোকিত হয়েছেন, ধন্য ও আলোকিত করেছেন বিশ্বনাথবাসীকে। বিশ্বনাথের কৃতি সন্তান কাউন্সিলর মো: আয়াছ মিয়া ব্যক্তিগত জীবনে খুবই ভদ্র, শান্ত, সৎ ও নির্লোভ পরিচছন্ন চরিত্রের অধিকারি। আয়াছ মিয়া বিশ্বনাথের কৃতি সন্তানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম একজন পরোপকারী গুণী ব্যক্তিত্ব।
তিনি দেশে থাকা কালে ছাত্রদল বিশ্বনাথ উপজেলা শাখার সদস্য ছিলেন। জনাব মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া স্ত্রী , দু’কন্যা ও এক পুত্র সন্তান নিয়ে সুখি সাংসারিক জীবনের অধিকারী। আমি ২০১১ সালে লন্ডন ভ্রমণ করি। আমার ভ্রমণ কালীন সময় বাসা ও ছিল স্টেপনি গ্রীণ এলাকার বেনজনসন রোড়ে। কিন্তু আমার ভ্রমণকালীন সময়ে টেরই পাইনি জনাব আযাছ মিয়া ঐ বেনজনসন রোড়েই অর্থ্যাৎ আমার বাসার কাছেই তিনির অফিস। যাক আমার ভ্রমণ শেষার্ধে বিশ্বনাথ এইড ইউকে.র পক্ষ থেকে যেদিন আমাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বা ছিলেন তিনি। ঐ অনুষ্ঠানে আমার সৌভাগ্যক্রমে পরিচিত হই। তখন তিনি জানালেন অফিসের ঠিকানা। পরদিন আমি আয়াছ মিয়া সাহেবের অফিসে উপস্থিত হতেই সে কি আপ্যায়ন , সম্মান , ¤্রদ্ধা প্রদর্শন। আমি তাহাঁর ব্যবহারে বিমুগ্ধ। অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত অনেকক্ষণ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনা করলাম , ফটো উত্তোলন করলাম। তবে উভয়েরই আক্ষেপ ছিল পূর্ব থেকে আমরা কাছাকাছি থেকে ও অনেক দুরের বাসিন্দা হিসেবে রয়ে গেলাম অপরিচিতের মতই। বড় অবেলা অসময় অবগত হলাম কাছের বাসিন্দা বলে। আমি জনাব মোহাম্মদ আয়াছ মিয়ার দীর্ঘায়ু ও জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার সুখ্যাতি অর্জনে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখার তওফিক প্রদান করুন এ কামনা ও বাসনা আমার নিরন্তর মহান ¯্রষ্টার দরবারে। এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক যে, আমাদের বিশ্বনাথের গর্বিত সন্তান আয়াছ মিয়া ২০১৮ সালে স্বদেশে আসলে আমার “দর্পহীনা” কবিতা গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। অনূষ্ঠানটি হয়েছিল বিশ্¦নাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের রাজা গঞ্জ বাজারে। সেদিন আমার কি যে আনন্দ হচিছল বা উপভোগ করেছিলাম তা ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। শুধু তা হৃদয়ের অলিন্দে অনুভব ও অনুভুতিই জাগায়। তাছাড়া লন্ডন শহরে আমি ঘুরাঘুরি করেছি অনেক জায়গায়। গিয়েছি অনেক অনুষ্ঠানে।যেখানেই গেছি, সেখানে দেখেছি বাংলাদেশ , বাঙ্গালী জাতীর গর্বিত সন্তানদের পদচারণা। নিজকে বড় ভাগ্যবান মনে হয়েছিল লন্ডনে যে কয়টি অনুষ্ঠানে আমি যোগদান করেছিলাম। কারন বাঙ্গালী ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন আমাদের গর্বিত সন্তানরা। বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা স্থানে স্থানে পত পত করে উড়ছে দেখে। দেখেছি বৈশাখী মেলা। বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মিলন মেলা। বাঙ্গালীরা অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণতায় উদযাপিত করছেন অনুষ্ঠানগুলি। সেই সাথে পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষ বাংলা সংস্কৃতির সহিত একাত্ম হয়ে আনন্দ উল্লাসে পড়ছেন ফেটে। সর্বত্র যেন বাঙ্গালীর জয় জয়কার। প্রায় দুইশত বৎসর ইংরেজরা আমাদে দেশকে বিভিন্ন টালবাহানা, চাতুরী, কুটকৌশলে করেছিল শাসন। ১৯৪৭ সালে ওরা হয়েছিল বিতাড়িত। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আর বেশি দিন বাকি নয়। বৃটেন হবে পরিচালিত বাঙ্গালী ও বাংলাদেশের মানুষের দ্বারা শাসিত। তাহলে এটা কি কম গৌরবের কথা। আয়াছ মিয়ার মত শত শত বাঙ্গালীরাই করবেন বৃটেনকে শাসন। সেটা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। আয়াছ মিয়াদের মাধ্যমে আমরা যেন হই আরো প্রোজ্জ্বলিত, আলোকিত, গর্বিত ও গৌরবান্বিত।