স্বাধীনতার পথ প্রদর্শক বঙ্গবন্ধু এবং মুজিব বর্ষ ২০২০-২১

প্রকাশিত: 16/10/2019

মো: জামাল হোসেন

স্বাধীনতার পথ প্রদর্শক বঙ্গবন্ধু এবং মুজিব বর্ষ ২০২০-২১

১৫ আগষ্ট ২০১৮ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী। জাতীয় শোক দিবসের প্রাক্কালে স্বাধীনতার মহানায়কের প্রতি আমাদের বিন¤্র শ্রদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর স্মরণে ‘মুজিব বর্ষ’ পালনের খবরের পাশাপাশি তার জীবনপঞ্জি

ও রোজনামচা নিয়ে আমাদের বিশেষ আয়োজন।  ১৭ মার্চ ২০২০ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শতবর্ষ পূর্ণ হবে। আর ঠিক পরের বছর ২৬ মার্চ ২০২১ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

এ দুটি বিষয়কে সামনে রেখে ২০২০-২১ সালকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করা হয়।  ঘোষণা অনুযায়ী, জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে ব্যাপকভাবে। এ আয়োজনে সকল বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে। শিশু, তরুন, যুবক সকলের জন্য আলাদা কর্মসূচি থাকবে।

আয়োজনের বিস্তৃতি থাকবে দেশের সকল ওয়ার্ড পর্যন্ত।  জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকীর কর্মসূচি পালিত হবে সরকারিভাবে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচিসহ অন্যান্য সকল

কর্মসূচি মুজিব বর্ষের কর্মসূচির সাথে সমন্বিতভাবে পালন করা হবে।  মুজিব বর্ষ উপলক্ষে থাকবে বিভিন্ন প্রকাশনাও। বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশিক হবে ‘বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথা’। 

বঙ্গবন্ধুনামা


জন্মস্থান : টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ। ডাকনাম : খোকা। পিতা :  শেখ লুৎফর রহমান, মাতা : মোসাম্মৎ সায়েরা খাতুন, স্ত্রী : বেগম ফজিলাতুন্নেছা; ডাকনাম-রেণু, সন্তান-সন্তুতি : ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

শিক্ষা গ্রহণ : গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া, সীতানাথ একাডেমি, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ইসলামিয়া হাই স্কুল, মিশন স্কুল, গোপালগঞ্জ, ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমান মওলানা আজাদ কলেজ), কলকাতা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।


১৭ মার্চ ১৯২০ (মঙ্গলবার) : জন্ম ১৯৩২/৩৩ : বিয়ে: ১৯৩৮ : গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন সহপাঠীকে হিন্দু মহাসভার হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে মারপিট করার কারণে প্রথমবারের মতো কারাবরণ। ১৯৩৯ : আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষেক।

৪ জানুয়ারি ১৯৪৮ : অন্যতম সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। ১১ মার্চ ১৯৪৮ : বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট পালনকালে গ্রেফতার। ১৯৪৯ : আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত। ১৯৫৩ : আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।

১৯৫৪ : পূর্ববঙ্গ প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত ১৪ মে ১৯৫৪ : যুক্তফ্রন্ট সরকারের সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ এবং কৃষি, বন, সমবায় ও পল্লী মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ। ১৯৫৫ : দ্বিতীয় গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত।

১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ : পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও ভিলেজ এইড দফতরের মন্ত্রী নিযুক্ত। ১৯৬৬ : আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত
৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ : ঐতিহাসিক ছয় দফা উত্থাপন। ৩ জানুয়ারি ১৯৬৮ : প্রধান আসামী করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে পাকিস্তান সরকার।

২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ : আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি লাভ। ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ : বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত। ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ : পূর্ব পাকিস্তানের নামকরণ করেন বাংলাদেশ। ৩ মার্চ ১৯৭১: ‘জাতির জনক’ উপাধিতে ভূষিত।

৭ মার্চ ১৯৭১: রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান। ২৬ মার্চ ১৯৭১ : স্বাধীনতার ঘোষণা, গ্রেফতার এবং কারারুদ্ধ অবস্থায় করাচিতে স্থানান্তর। ১০ এপ্রিল ১৯৭১: রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন।

৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ : পাকিস্তান সরকার কর্ক দেশদ্রোহী ঘোষণা করে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান। ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ : পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ : স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ : স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ।

২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫: সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ : একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে নিজ বাসভবনে সপরিবারে নৃশংসভাবে নিহত।

আরও পড়ুন

×