২১০৭ সালের ইতিহাসে থাকবেন মিজান স্যার

২১০৭ সালের ইতিহাসে থাকবেন মিজান স্যার

২১০৭ সালের ইতিহাসে থাকবেন মিজান স্যার

রাহেনা হাফিয

কোন এক মনিষী বলেছিলেন, “মানুষ রুপে যখন জন্ম নিলি, একটি দাগ রেখে যা”। আমাদের অনেকেই জানি না, এই দাগ কি ভাবে রাখতে হয়।

অধিকাংশ মানুষ অর্থের পাহাড় গড়ে, গলাবাজি করে দাগ রাখতে চায়।তা কখনও সম্ভব হয় না তার বড় প্রমাণ “ইতিহাস”।আজ ২০০৭ সাল। আমরা যদি ১৯০৭ সালে ফিরে যাই, দেখতে পাবো তখন ছিল বৃটিশ শাসন।

ভারত বর্ষে ছিল হাজার হাজার জমিদার। তাদের ছিল অর্থের পাহাড়, দুর্দান্ত দাপট ও প্রভাব। তারা তখন ইংরেজদের সাথে তাল মিলিয়ে করেছিল চাপাবাজি।

আজ তাদের কোন অস্তিত্ব নেই।কিন্তু তখন কিছু মানুষের সত্য ও আদর্শের মাধ্যমে দাগ রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। যার জন্য আজও তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় অবস্থান করছে।

আমরা প্রতিদিন তাঁদের নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। তাঁদের কেউ রাজনীতিতে, কেউ সাহিত্যে, কেউ সঙ্গীতে, কেউ সমাজ সেবায়।

শুধু প্রয়োজন হয় ধার্মিকতা, সুন্দর মন, প্রেম, সুকর্ম, পরিশ্রম।আজ কিছু মানুষ আছে যারা অর্থের পাহাড় গড়ছে। মিথ্যা চাপাবাজি করছে।

পৃথিবীতে একদিন ২১০৭ সাল আসবে। সেদিন এই অর্থের পাহাড়ের লোকদের কোন ইতিহাস থাকবে না। কিন্তু সেদিন ইতিহাসের পাতায় অনেক মানুষের নাম থাকবে। তাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দাগ রাখার চেষ্টা করেছেন।

২১০৭ সালে ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবেন এমনই একজন ব্যক্তিকে নিয়ে আমি আজ লিখতে বসেছি, তিনি জয়নগরের বাউল শিল্পী চাঁন মিয়ার একমাত্র ছেলে মিজানুর রহমান মিজান।

ইতিহাসের পাতায় যাওয়ার মাধ্যম হলো কলম ও খাতা।তিনি কলম ও খাতা ব্যবহার করে সৃষ্টি করেছেন কবিতা, গান, গল্প, প্রবন্ধ, কলাম ও উপন্যাস। প্রকাশ হচেছ বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়।

কয়েকটি বই ও প্রকাশ হয়েছে। কবি, কলামিষ্ট ও সাহিত্যিক হিসাবে তাঁর দুই দেশে বেশ খ্যাতি এসেছে। তাঁর লেখার গুণগত মান ভালো।আমি তাঁকে কোন দিন দেখিনি।

কিন্তু বিশ্ব প্রতিভা একাডেমীর পরিচালক সুমন বিপ্লব চাচার কাছে কবি মিজানুর রহমান মিজান সাহেবের অনেক কথা শুনেছি। আমার মনে হল গ্রামে এমন প্রতিভাবান গুণিজন বিরল।

সুমন চাচা তাঁর কাছে প্রায় যান। তাঁদের সম্পর্ক খুব গভীর। একাডেমীর উদ্ভাস ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক।তিনি এখন পিতার নামে চাঁন মিয়া স্মৃতি পাঠাগারকরেছেন।

প্রতি গ্রামে একটি করে পাঠাগার প্রয়োজন। বই পড়া ছাড়া জাতিকে জ্ঞানী হিসাবে তৈরী করা সম্ভব হয় না। আজ আমরা ভুলে গেছি যে বই পড়া প্রয়োজন।

বিশ্বে আমরা পিছিয়ে আছি তার একমাত্র কারন আমরা বই পড়ি না, জ্ঞান অর্জন করি না। সুমন চাচার কাছে শুনেছি তিনি স্কুলের সেরা ছাত্র ছিলেন ছাত্র জীবনে।

তিনি উত্তর বিশ্বনাথ হাই স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। আমি ও ঐ স্কুলের ছাত্রী। স্যার ঐ স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন ভাল শিক্ষকহিসাবে সুনাম অর্জন করেছিলেন।

তিনি ভাল সাহিত্যিক না হয়ে কি পারেন? ভাল ছাত্র, ভাল শিক্ষক ও ভাল লেখক এই তিন গুণের সম্বন্বয়ে ২১০৭ সালের ইতিহাসে তিনি অবস্তান করবেন।

তখন আমরা থাকবো না। থাকবে নতুন মানুষ, আজ তাঁরা আমাদের সাথে নেই। আছে গুণী মানুষের ইতিহাস। যাঁদের আমরা স্মরণ করছি।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস সাহিত্যের জন্য মিজানুর রহমান মিজান স্যার ২১০৭ সালে ইতিহাসে অবস্থান করবেন। তখনকার মানুষ স্যারকে স্মরণ করবেন।

সহ:শিক্ষক, মিরের চর, বিশ্বনাথ, সিলেট।

আরও পড়ুন

×