জন্মদিনের ভালোবাসায় সিক্ত সমাজসেবক সৈয়দ আবুল কাসেম

জন্মদিনের ভালোবাসায় সিক্ত সমাজসেবক সৈয়দ আবুল কাসেম

লক্ষীপুরে নিজ জন্মদিনে হাজরো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন রাজনীতিবীদ ও সমাজসেবক সৈয়দ আবুল কাসেম। তার জীবনের বিপুল অর্জনের কৃতজ্ঞতার স্মারক হয়ে থাকল ভালোবাসায় সিক্ত আজকের এই জন্মোৎসব।

১৪ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর (সৈয়দ আবুল কাসেম) দীর্ঘ জীবনের সহচর, অনুজ, গুণমুগ্ধর, ও নিজ দল আওয়ামীলীগ এবং এর অংগসংঠনের লক্ষীপুর জেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে উনার নিজ বাড়ীতে গিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

অর্থাৎ জন্মদিন পালনের আয়োজন সম্পর্কে মোটেও ওয়াকিবহাল ছিলেন না সমাজসেবক সৈয়দ আবুল কাসেম। এদিন তিনি অন্য একটি অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য উপস্থিত হয়ে নিজের জন্মোৎসবের এমন ঘটা আয়োজন দেখে অভিভূত হন।

জানা যায়, লক্ষীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদের ও সদর থানা আওয়ামীগের সদস্য শোহরাব হোসেন বিনুর উদ্দ্যেগ-আয়োজনে অনুষ্ঠানের দৃশ্য অভিভূত হওয়ারই কথা। কেননা, পুরোটা বৈঠকখানা ও এর আশপাশে উনার শত শত ভক্তদের বসার স্থান ছিল না।

দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই এসেছেন তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। এই তালিকায় ছিলেন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, দলীয় অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিল্পীসহ সব অঙ্গনের প্রতিনিধিরা। একজন মানুষের জন্মদিনে এর চাইতে বড় উপহার আর কিছুই হতে পারে না।

বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য সৈয়দ আবুল কাসেম লক্ষীপুর আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত কর্মি। মা–মাটি–দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে রাজনীতি ও সমাজসেবা মূলক কাজে তিনি সরব ৫০ বছরের মত সময়। তার জন্ম ১৯৫৬ সালে। স্কুল জীবনেই তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন।

আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৭০ সনে একজন ছাত্রনেতা হিসেবে দালাল বাজার এনকে হাইস্কুল ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে আইয়ূব বিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন ক্ষুদে মুক্তিযুোদ্ধা হিসেবে তাঁর ভূমিকা ছিল অনন্য।

জন্মদিনের শুভক্ষনে সৈয়দ আবুল কাসেম বলেন, ১৯৭০ সনের শেষের দিকে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রচারকালীন সময়ে লক্ষীপুরে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত স্নেহের সহিত আমার মাথায় তার হাত বুলিয়ে দেন। আমি তখন ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র।

সেই থেকে আমি আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে দেশের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছি এবং আগামী দিনেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাবো।

অনুষ্টানে উপস্হিত ছিলেন, দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম, উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এমরান হোসেন নান্নু, সদর থানা আআওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকশনা সম্পাদক হুমায়িন কবির বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস, জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক মামুনর রশিদ, দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক নুর আলম মোহন, জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব ইমতিয়াজ, দালাল বাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সুমন হোসেন বাদশা, সদর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক রবিন ভুঁইয়া, এছাড়া আরো উপস্হিত ছিলেন, দালাল বাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুব হাসান অভি, দালালবাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্পাদক অপু, দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি প্রার্থী নেওয়াজ হোসেন শুভ, দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবকলীগ সভাপতি ফজলুল করিম চৌধুরী, উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবকলীগ সাধারন সম্পাদক, লক্ষীপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ সাবেক সম্পাদক ছাত্রলীগ সাইফুল ইসলাম রকি, লক্ষীপুর পৌর ছাত্রলীগ যগ্ম আহবায়ক লক্ষীপুর সাজ্জাদ হোসেন ফাহাদ, ১ম যুগ্ম আহবায়ক লক্ষীপুর পৌর ছাত্রলীগ সাকিব ইসলাম, সভাপতি লক্ষীপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ ফাহাদ বিন কামাল মাহি, দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের হাসান ইমাম অর্নব, নোবেল, প্রান্ত, শান্ত সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

আরও পড়ুন

×