প্রকাশিত: 18/01/2021
এবার আদমশুমারিতে হিজড়ারা আলাদা পরিচয় পাচ্ছেন। নারী বা পুরুষ নয়, প্রথমবারের মতো আদমশুমারিতে তাদের লিঙ্গ পরিচয়ের ভিত্তিতে গণনা করা হবে।
সরকার বলছে, দেশে যদি হিজড়াদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করা হয় তবে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা আরও সহজ হবে। হিজড়ারা বিষয়টি স্বাগত জানালেও তারা আশ্বস্থ হতে পারছেনা। তারা মনে করেন এর আগের সরকারগুলোও এ জাতীয় বহু উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু তাদের জীবনে এর কোন প্রভাব পড়েনি।
এ বছর দেশে ষষ্ঠ আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হবে। লিঙ্গ স্বীকৃতি পাওয়ার পর এবার আদমশুমারিতে হিজড়া লিঙ্গের পাশাপাশি হিজড়া লিঙ্গ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
সমাজসেবা অধিদফতরের মতে, দেশে হিজড়াদের সংখ্যা দশ হাজারের কিছুটা বেশি। তবে এই সংখ্যাটি অনুমান নির্ভর। হিজড়াদের মতে, তাদের সংখ্যা সারাদেশে এক লক্ষের কাছাকাছি।
সংখ্যার এই বিভ্রান্তি দূর করতে, ২০২১ সালের আদমশুমারিতে হিজড়ারা পুরুষ-মহিলাদের পাশাপাশি হিজড়াদের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেছে বিভিন্ন গুরু মা'রা বিভিন্ন ডেড়ায় বসবাস করেন তাদের কাছে সঠিক সংখ্যা রয়েছে। আদমশুমারীতে তাদের পরামর্শ নিলে সেক্ষেত্রে সঠিক সংখ্যাটি পাওয়া যেতে পারে।
সরকারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা মনে করেন, হিজড়াদের সঠিক সংখ্যা জানা থাকলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য পরিকল্পিত প্রকল্প গ্রহণ করা আরও সহজতর হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, "এই শুমারি আমাদের তাদের সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা দেবে।" বাজেট করার সময় আমরা তাদের কতটা অনুদান দিতে পারি তা নির্ধারণ করা আমাদের পক্ষে আরও সহজ করে তুলবে। এখন আমরা অনুমান করছি যদি তাদের যেকোন জায়গায় আরও সদস্য থাকে তবে আমরা সে অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণ করতে পারবো।
অন্যদিকে, জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো, ইতিমধ্যে পৃথকভাবে বসবাস করা এবং ভাসমান পরিবারের সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করছে।