প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরের বর্ণাঢ্য জীবন

প্রকাশিত: 07/07/2020

নিজস্ব প্রতিবেদন :

প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরের বর্ণাঢ্য জীবন

জন্ম : ১৯৫৫ সালের ৪ঠা নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন এন্ড্রু কিশোর।রাজশাহীতেই কেটেছে তাঁর শৈশব ও কৈশোর।

সঙ্গীত জীবন : এন্ড্রু কিশোর রাজশাহীর খ্যাতনামা ওস্তাদ আবদুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে প্রাথমিকভাবে সঙ্গীত পাঠ গ্রহণ শুরু করেন। 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কিশোর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক ও দেশাত্মবোধক গান শ্রেণিতে রাজশাহী বেতারের সঙ্গে তালিকাভুক্ত ছিলেন।

এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের "অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ" গানের মধ্য দিয়ে।তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান বাদল রহমান পরিচালিত এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী চলচ্চিত্রের "ধুম ধাড়াক্কা"। তবে এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতীজ্ঞা চলচ্চিত্রের "এক চোর যায় চলে" গানে প্রথম দর্শক তার গান শুনে এবং গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে।তিনি অন্যান্য প্লেব্যাক গান রেকর্ড করেন যেমন 'ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে', 'ভালবেসে গেলাম শুধু' এর মত জনপ্রিয় সব গান।

এন্ড্রু কিশোর ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য দেশ-বিদেশের আরও অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন উপমহাদেশের খ্যাতনামা এই শিল্পী।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লিপিকা কিশোর ইতি ছাড়াও ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক (২৪) এবং মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞা (২৬) রেখে যান।মৃত্যুকালে স্ত্রী পাশে থাকলেও দু’সন্তানই বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করেন।

মেয়ে সংজ্ঞার পড়াশোনা প্রায় শেষের পথে। ইতোমধ্যে তারা বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা বিমানের টিকেট পাননি বলে পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। তারা দ্রুত দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। তার মেয়ে ও ছেলে দেশে আসার পর তাঁর দাফনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।

তবে না ফেরার দেশে যাওয়ার আগে স্বজনদের বলে যান, মায়ের পাশেই যেন সমাহিত করা হয় তাকে। তাঁর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের হিমঘরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন

×