রাঙ্গুনিয়া মজুমদারখীল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পূর্নমিলন উদযাপন ।

রাঙ্গুনিয়া মজুমদারখীল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পূর্নমিলন উদযাপন ।

রাঙ্গুনিয়া মজুমদারখীল উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ২৫ টি বছর মিলিত হয়ে পূনর্মিলন উৎসব পালন করেছে ৯৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।একেকজন নিজেদের মধ্যে আলিঙ্গন আর স্মৃতির আলাপনে মুখর হয়ে উঠে গত ২৯ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল থেকে ।

সকাল ১০টার দিকে আনন্দ আয়োজনের শুরু হয়েছিল শোভাযাত্রার মাধ্যমে। ‘এসো মিলি প্রাণের টানে, তোমার আমার শেকড় যেখানে’ এই আহ্বানে স্কুলচত্বর থেকে শুরু হয় শোভাযাত্রা।

শোভাযাত্রাটি মরিয়মনগর ডিসি সড়ক সহ আশপাশের এলাকা ঘুরে বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বিদ্যালয়ের চার দশকের বিদায়ী শিক্ষকবৃন্দরাও।

কখনো ব্যাচভিত্তিক, কখনো শিক্ষকদের সঙ্গে আড্ডায় স্মৃতি খুঁজে ফিরছিলেন শিক্ষার্থীরা। শোভাযাত্রার পরের পর্ব ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বেলুন উড়িয়ে, জাতীয় সংগীত, উদ্বোধনী সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাথে এই পর্বে অংশ নেয় বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্রীরা। এরপর শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুনর্মিলন উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরী।

সদস্য সচিব মো. ফজলুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মজুমদারখীল স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সোনালী ব্যাংক লিঃ কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার মো. নুরুল হক, ডেপুটি কমিশনার টেক্স মোর্শেদুল আলম খান, ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতির সহ সভাপতি গিয়াস উদ্দীন খান স্বপন, স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূর উল্লাহ, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব, শেখ মো. আজম, বর্তমান প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক প্রমুখ।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন উযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ওসমান গণি, অর্থ সচিব রাসেল চৌধুরী, প্রকৌশলী সুব্রত কুমার দে প্রমুখ।

আলোচনা অনুষ্ঠানের পর বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ক্রীড়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছাড়াও তাদের সাথে আসা স্ত্রী ও সন্তানেরাও। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এ সময় পুনর্মিলন উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা “বাঁধন”-এর মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। শেষ পর্বে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন দেশের নামকরা শিল্পীরা।

প্রায় তিন ঘণ্টা শিল্পীর সঙ্গে গলা মিলিয়ে চলতে থাকে শিক্ষার্থীদের আনন্দ–উল্লাস। আঞ্চলিক গানসহ জনপ্রিয় গানে সুর মেলান সবাই। নতুন-পুরোনো বন্ধুদের কোলাহলে যেন ফিরে এল বিদ্যালয়ের সোনালি দিনের স্মৃতি। এমন আয়োজন পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধনটা আরও শক্ত করেছে—এমনই মন্তব্য ১৯৯৫ ব্যাচের ছাত্র আব্দুল আজিজের।

১৯২৭ সালে জুনিয়র স্কুল হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এই শিক্ষা প্রতষ্ঠানটি। পরে ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক স্কুলে স্বীকৃতি লাভ করে। বিদ্যালয়টি বিগত দিনে জুনিয়র হাই স্কুল হিসাবে মজুমদারখীল গ্রামের পদ্ম পুকুর পাড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি অর্জনে প্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তর করে মরিয়মনগর ডিসি রোড সংলগ্ন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়েছে ।

আরও পড়ুন

×