“পল্লী আঁধারে একটি রবি”

 “পল্লী আঁধারে একটি রবি”

পর্ব-১৮

অন্বেষা

উত্তর বিশ্বনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম বার্ষিকীটি ১৯৮২ সালে প্রকাশিত হয় অন্বেষা নামক ম্যাগাজিন। এর সম্পাদনা করেন মুহিবুর রহমান কিরণ।

৪০ পৃষ্টার এই ম্যাগাজিনটি মুদ্রিত হয় শাহজালাল প্রেস, সিলেট থেকে। ম্যাগাজিনটি গল্প, উপন্যাস, কবিতায় ভরপুর।মুহাম্মদ মুহিবুর রহমান কিরণের “ শিক্ষাদানে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার, মিজানুর রহমান মিজানের “নিরক্ষতা ও বাংলাদেশ” নামক প্রবন্ধ।

তৎকালীন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মো: জসিম উদ্দিন খানের “ আক্কেল সেলামী” নামক রম্য রচনা সংকলনটিকে সমৃদ্ধ দান করেছে।বর্তমান সময়ে সংকলটি দুষ্প্রাপ্য সংকলন হিসাবে গণ্য করা হচেছ।

সু-সাহিত্যিক মিজানুর রহমান মিজানের সৌজন্যে প্রাপ্ত একটি সংখ্যা এখন আহমেদ এ মালিক পাঠাগারে সংরক্ষিত আছে। আবুল হোসেন মামুন, সৃজন ১ম বর্ষ ২য় সংখ্যা জুলাই-আগষ্ট ২০০৫, বিশ্বনাথ থেকে প্রকাশিত।

সৃজনশীল লেখক জনাব মাষ্টার মো: মিজানুর রহমান মিজান এ রচিত “নবীজির দেশে ষোল বসন্ত” বইটি আদ্যপ্ন্থ পড়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।

নব্য জাহিলিয়াতের যুগে এরুপ মননশীল লেখা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। দুয়া করি আল্লাহ পাক যেন আপনার কলমকে ইসলামের পক্ষে আরো শক্তিশালী করেন।

মো: রায়হানুদ্দীন,সুপার, আমতৈল পঞ্চগ্রাম মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বিশ্বনাথ, সিলেট।

 

সাহিত্যিক মিজানুর রহমান মিজানকে লেখা বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের চিঠিপত্র

এলাহি ভরসা / ১৭/০৭/৯৭ লন্ডন থেকে

সালামান্তে নিবেদন এই যে, মিজানুর রহমান সাহেব আশা করি পরম করুণাময়ের কৃপায় কোশলেই আছেন।আমার কথা পরে লিখব। প্রথমে লিখি আমাকে নিশ্চয়ই এ অবস্তায় চিনার কথা নয়।

কারন দীর্ঘদিন পর পত্র যোগাযোগ। তবে একটু পরেই চিনে নিবেন পত্রের লিখার ধারাবাহিকতায় অবশ্যই। তার আগে ক্ষমা চেয়ে নিচিছ আপনার কাছে এই দীর্ঘ অনুপস্থিতির জন্য।

কি করব সবই খোদার ইচছা। হঠাৎ ভিসা পাওয়ায় আমাকে লন্ডন চলে আসতে হলো। এখানে আসার পর অনেক চেষ্টা করেও আপনার ঠিকানা না পাওয়ায় যোগাযোগ করতে পারিনি।

অদ্য সুরমা পত্রিকা অফিসে আপনার পাঠানো বিশ্বনাথ ডাইজেষ্ঠ নামক প্রকাশিতব্য বইয়ের বিজ্ঞপ্তি থেকে তা সংগ্রহ করে পাঠালাম। আসলে দর্পণ ম্যাগাজিনের কথা নিশ্চয়ই আপনার স্মরণ আছে।

আপনি তার একজন পৃষ্ঠপোষক এবং সর্বোপরি তার মঙ্গলের জন্য সার্বিক ভাবে চেষ্টা করেছেন। আমি চলে আসার পর তাদের কাছে দায়িত্ব দিয়ে এসেছিলাম, যে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে পত্রিকা পাঠানোর জন্য।

ইতিমধ্যে অনিয়মিত ভাবে হলেও পত্রিকা প্রকাশিত হচেছ, তবে আপনাদের কাছে পাঠানো হচেছ কি না জানিনা। অবশ্যই তা জানাবেন এই আশা নিয়ে এখানেই শেষ করছি।

আগামী পত্রে আমি এখানে কি করছি না করছি তা বিস্তারিত জানানোর আশা রইল। তবে আপনি সুরমা পত্রিকা যদি পেয়ে থাকেন তবে এর ৭ পৃষ্টার পৃন্টারস লাইনে কিছুটা ইঙ্গিত পেতেও পারেন।

বিশেষ কি আপনার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি। পরিশেষে আশা করি আপনার উদ্যোগ সার্থক হবে এ কামনা করেই বিদায়।

আরও পড়ুন

×