হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ বিপাকে খামারিরা

হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ বিপাকে খামারিরা

করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে বাড়ী থেকে বের না হওয়ারসহ হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে হোটেল-রেস্তোরা ও মিষ্টির দোকানে দুধের বিপণন বন্ধ হয়ে গেছে।

এতে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার দুগ্ধ খামারী ও গাভী পালনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারী গাভী লালনপালনকারীরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র ও খামারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা ছোটবড় অন্তত ৭৫ টি দুগ্ধ উৎপাদনকারী খামার রয়েছে।

যেগুলোতে ৫ থেকে ৯ টি গাভী রয়েছে। এর বাইরেও ব্যক্তির উদ্যোগে প্রায় ৫০ হাজার খামার রয়েছে। এসব খামারের এক-একটিতে ১ থেকে ৩ টি গাভী রয়েছে।

এসব খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। রেস্তোরাঁ, মিষ্টির দোকান ও ব্যক্তি পর্যায়ে প্রতি লিটার দুধ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হতো।

পৌর শহরের দুগ্ধ খামারী উত্তর কুন্ডু, খয়েরবাড়ীর ধীমান চন্দ্র সাহা, আলাদিপুরের তারাপদ রায় ও গোপালপুরের যোতিশ চন্দ্র বলেন, গাভী পালন করতে প্রতিবস্তা ভুসি ১ হাজার ৩০০ টাকা, খড় প্রতিগন্ডা (৪টি) ৫ টাকা ও ঘাস প্রতি আটি (মুষ্টি) ৫ টাকা দরে কিনতে হয়।

এতে করে গাভীগুলো থেকে যা দুধ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো কয়েকদিন থেকে বিক্রি করতে পারছেন না। বাজারে দুধ ওঠালেও দাম পাওয়া যাচ্ছে না। আগে প্রতি লিটার ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হতো, সেই দুধই এখন এলাকা ভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা লিটারেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

এ কারণে ঠিকমতো গোখাদ্যও কিনতে পারছি না। প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে হচ্ছে।উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আহসান হাবীব বলেন, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও মিষ্টির দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খামারীসহ ব্যক্তি পর্যায়ের গাভী পালনকারীরা বিপাকে পড়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত। তবে এই সমস্যা দ্রুত কেটে যাবে। তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মানুষের বেশি করে দুধ খাওয়া প্রয়োজন। এই সুষম খাবার গ্রহণে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

আরও পড়ুন

×