প্রকাশিত: 09/05/2020
করোনা আতংকের মধ্যে শ্রমিক সংকটে কৃষকরা যখন ক্ষেতের পাকা ধান নিয়ে শংকিত তখন টানা আড়াই ঘন্টার বৃষ্টিতে ডুবে গেছে মহেশপুর উপজেলার কয়েক’শ একর বোরো ধান। আর এই বৃষ্টির পানির সাথে তলিয়ে গেছে কৃষকের সারা বছরের স্বপ্ন। শত শত একর জমির কাটা ধান এখন পানির নিচে পড়ে আছে। এতে বিপাকে পড়েছে হাজারো কৃষক পরিবার। মহেশপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় চলতি বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে। ফলনও ভালো। বোরো ধান কেটে বাড়ি আনতে কৃষকের তিনগুণ খরচের পাশাপাশি হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ক্ষেতের ধান ঘরে তুলতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুক্রবার রাতে টানা ঝড় বৃষ্টির কারণে মাঠে কেটে রাখা ধান তলিয়ে গেছে। ফলে ভিজে ধান ঘরে তোলা, ধান মাড়াই করে শুকাতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে কৃষকদের। চোখের সামনে পানিতে নষ্ট হচ্ছে শত শত একর জমির পাকা ধান। মহেশপুর উপজেলার নেপা গ্রামের কৃষক মোসলেম উদ্দীন ও পৌর এলাকার বগা গ্রামের কৃষক ইসানুর ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তারা দুই থেকে তিন বিঘা করে জমির ধান কেটে রাখেন। শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে সব ধান পানির নিচে। এখন ধান বাঁচানোর জন্য বিচালি রেখেই ধান তুলতে হচ্ছে। তাদের ভাষ্য এমনিতেই বাজারে ধানের দাম কম। তার পর বিচালী বাবদ বিঘাপ্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে। বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাছান আলী জানান, উপজেলায় প্রায় ৫০% ধান কাটা হয়ে গেছে। তিনি কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, এখন দ্রæত জমির আইল কেটে দিয়ে পানি বের করে দিতে হবে।