প্রকাশিত: 19/04/2020
প্র্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে প্রতিদিনই মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সমগ্র বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার পরও মানুষ লকডাউন মানছে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়াই বিভিন্ন অজুহাতে ঘরের বাইরে ঘোরাফেরা করছে অনেকে।
আর চাহিদার তুলনায় পরীক্ষা করার কেন্দ্র খুবই কম। পর্যাপ্ত পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় করোনার ঝুঁকি বাড়ছে। পরীক্ষা করতে ও ফলাফল পেতে আক্রান্ত রোগীকে অনেক জায়গায় যেতে হচ্ছে। এতে ব্যাপক হারে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে।
এ অবস্থায় দ্রুত করোনা শনাক্তের পরীক্ষাকেন্দ্র বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরা বলেন, সারাদেশে ৩৬টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা চালু করতে হবে। একই সঙ্গে বেসরকারি যেসব হাসপাতালে পিসিআর মেশিন আছে, সেসব হাসপাতালেও পরীক্ষা দ্রুত চালু করতে হবে। আর হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্যাম্পল সংগ্রহ করে পার্শ্ববর্তী মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা করতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশে পরীক্ষার হার কম। মাত্র ১৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে। একই সঙ্গে করোনা রোগীদের সুচিকিত্সা নিশ্চিত করতে রেসপেটরি মেডিসিন, বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, অ্যানেসথেলজিস্ট ও ইপিডিওমোলজিস্ট—এই পাঁচ ধরনের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং টিম গঠন করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরা।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমানে দেশের ৫৪ জেলায় লকডাউন চলছে। কিন্তু কেউ লকডাউন মানে না। ৬৪ জেলায় কারফিউ দিতে হবে। মানুষকে বাসায় রাখতে হবে। হাঁচি, কাশি ও গলায় ব্যর্থ হলে পরীক্ষা করতে হবে। নইলে লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে।
অধ্যাপক ডা. খান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের প্রতি সহনশীল হতে হবে। গরিবের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিতে হবে। ত্রাণ দেওয়ার নামে জনসমাগম করা যাবে না।