প্রকাশিত: 22/04/2020
প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এদিকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। আগের চেয়ে বেড়েছে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে রোগ লুকিয়ে রাখার প্রবণতা থাকায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী।
সরকারিভাবে চিকিৎসক আক্রান্তের কোনো তথ্য দেয়া না হলেও চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দেশব্যাপী পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ) বলছে, তাদের কাছে দুই শতাধিক চিকিৎসক আক্রান্তের তথ্য আছে।
ইতোমধ্যে অনেক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন। আবার প্রথমে না জানলেও পরে জেনে সেল্ফ কোয়ারেন্টিনে আছেন অনেক চিকিৎসক। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে একসময় করোনাভাইরাস তো বটেই এমনকি অন্যান্য সাধারণ রোগের চিকিৎসা দেয়ার জন্য চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী পাওয়া যাবে না।
সরকারিভাবে সরাসরি কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ) গতকাল মঙ্গলবার বলেছে, গতকাল পর্যন্ত দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের দুই শতাধিক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিডিএফের ডা: নিরুপম দাস বলেছেন, বাংলাদেশে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন মূলত মানহীন পিপিই’র কারণে। এ ছাড়া রোগীদের ভাইরাসের লক্ষণ গোপন করা থেকেও চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসক ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে দেড় শতাধিক নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন অত্যন্ত বিপজ্জনক এই ভাইরাসে।
গতকাল মঙ্গলবার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, এ হাসপাতালের কমপক্ষে ২৫ জন করোনাভাইরাসে পজিটিভ। গতকাল সকাল পর্যন্ত বলা হয়েছে, সলিমুল্লাহর ৪০ জন চিকিৎসক আক্রান্ত; কিন্তু পরে বিকেলে পিসিআর পরীক্ষায় এদের অনেকেই নেগেটিভ হয়েছেন। পরে সংখ্যাটি চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী মিলে ২৫ জনের কথা বলা হচ্ছে।