প্রকাশিত: 26/04/2020
যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মী মোঃ হাসানুজ্জামান শিমুল করোনা ভাইরাসে আক্রন্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়োজিত বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশানের ইনচার্জ হয়ে দ্বায়িক্ত পালন করেন। বর্তমানে সে তার নিজ বাড়ি আইসোলেশানে চিকিৎসাধীন আছেন।সতর্কতায় উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে আশে-পাশের ৪০ ঘর লকডাউন করা হয়েছে। মোঃ হাসানুজ্জামান শিমুল বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের মোঃ আলতাফ হোসেনের পুত্র।
স্বাস্থ্য কর্মী শিমুল মোবাইল ফোনে জানান,গত ২৬ই জানুয়ারী হতে তিনি বেনাপোল ইমিগ্রেশানে ভারত ফেরত বাংলাদেশীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়োজিত ছিলো। এর মধ্যে বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়ি অস্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৭ দিন দ্বায়িক্ত পালন করেন। গত ২৫ই এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়েছিলো যার ফলাফল পজেটিভ এসেছে।
আরো জানাগেছে, গতকাল তিনি বেনাপোল চেকপোস্টে কর্মরত ছিলেন। করোনা যুদ্ধে নিয়োজিত এ স্বাস্থ্য কর্মী সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন।
শার্শা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল স্বাস্থ্য কর্মী মোঃ হাসানুজ্জামান শিমুলের করোনা পজেটিভ ফলাফলের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে সে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে এবং বাসাটি লক ডাউন করা হয়েছে।
যশোরের জেলা প্রশাসক মহোদয় তার সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিদের তালিকা তৈরীর কাজের তদারকি করছেন। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। করোনা রোগী শনাক্ত খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।