রাঙ্গুনিয়ায় এসএসসি তে বিগত বছরের চেয়ে পাসের হার বৃদ্ধি, কমেছে জিপিএ ৫

রাঙ্গুনিয়ায় এসএসসি তে বিগত বছরের চেয়ে পাসের হার বৃদ্ধি, কমেছে জিপিএ ৫

রাঙ্গুনিয়ায় গতবছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের তুলনায় এবার পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। এবার রাঙ্গুনিয়ার ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৩ হাজার ৮শত ৭৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ১৫ জন।

পাসের হার ৭৭.৮০ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১ জন পরীক্ষার্থী। গতবার পাসের হার ছিল ৭২.৬৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫৫ জন পরীক্ষার্থী। ২০১৮ সালে পাসের হার ছিল ৭৫.৭৫ ভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭৩ জন। 

অন্যদিকে দাখিলেও পাসের হার বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। এবছর দাখিলে ১৫টি মাদ্রাসার ৬২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫০২ জন।

পাসের হার ৭৯.৮০ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন শিক্ষার্থী। গতবার এই ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাসের হার ছিল ৬৯.৬৭ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালে দাখিলে পাসের হার ছিল ৬৭.৬৬ ভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ জন শিক্ষার্থী। 

এছাড়া ভোকেশনালে অংশ নেওয়া উপজেলার একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাঙ্গুনিয়া আদর্শ বহুমূখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৯৭ জন। পাসের হার ৮১.৫১ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন শিক্ষার্থী। ভোকেশনালে গত বছর উপজেলার ২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাসের হার ছিল ৮৬.৮৭ ভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ জন শিক্ষার্থী। 

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, উপজেলায় এবার পাসের হারের দিক থেকে ৯৭.৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে উপজেলায় প্রথম হয়েছে উত্তর পোমরা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে ৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৩ জন পরীক্ষার্থী পাস করে।

অন্যদিকে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে প্রথম হয়েছে সরফভাটা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়। তাদের ১৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩৫ জন। পাসের হার ৮০.৩৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন শিক্ষার্থী।

এছাড়া রাঙ্গুনিয়া আদর্শ বহুমূখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকেও ৭ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাদের ২৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৮৪ জন, পাসের হার ৭৯.৩১ শতাংশ। 

মাদ্রাসা পর্যায়ে দাখিলে পাসের হারের দিক থেকে শতভাগ পাশের রেকর্ড গড়ে উপজেলায় প্রথম হয়েছে আবদুল কাদের জিলানী দাখিল মাদ্রাসা। তাদের ১৫ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে।

তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে উপজেলায় প্রথম হয়েছে হযরত খাদিজা (রাঃ) বালিকা মাদ্রাসা। তাদের ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৯ জন, পাসের হার ৮৬.৬৬ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন।

আরও পড়ুন

×