প্রকাশিত: 01/07/2020
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরুধে বিশেষ নিয়ম শৃঙ্খলা ও শিষ্টাচার পদ্ধতি মেনে চলা একমাত্র উপায় ও পদক্ষেপ হতে পারে।
চলুন, ফিরে দেখি কেমন ছিল মহামারীর প্রথম দিকে জনগনের চিন্তাভাবনা ও মানুষিক অবস্থা, ইংরেজি ২০২০সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে সংবাদ মাধ্যমে ও বিশেষ সূত্রে খবর এসেছে যে, চীনের ওয়াহান শহরে নতুন এক ভাইরাসের সংক্রমনে মারা যাচ্ছে সাধারন মানুষ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
কয়েকদিনের মধ্যে জানাগেলো যে, এই ভাইরাস আশঙ্কা জনক ভাবে খুভ দ্রুত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে আশেপাশের এলাকায় ও শহরে কিন্তু ডাক্তারদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও চিকিৎসার মাধ্যমে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না অধিকাংশ আক্রান্তদের।
আরো কিছুদিনের মধ্যে জানাগেলো যে, এই ভাইরাসের নাম নোভেল করোনা ভাইরাস যার এখনো পর্যন্ত এন্টিভাইরাস আবিষ্কার হয়নি এবং ভাইরাস খুভ দ্রুত আশঙ্কা জনক ভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
চীনে বসবাসকারী আন্তর্জাতিক নাগরিকরাও আশঙ্কা জনক ভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন ও মৃত্যুবরণ করছেন। এবার আন্তর্জাতিক মহলের মাথার টনক নড়েছে ও অনেকটা ভয় ও উৎকণ্ঠার মধ্যে নানান আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে মিডিয়া ও জনগণের মধ্যে চিন্তাভাবনা ও তথ্যচিত্র উপস্থাপনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সমস্ত এলাকায়। ইতিমধ্যে চীনে বসবাসকারী ছাত্র ও প্রবাসীরা ভাইরাস সংক্রমণের থেকে বাঁচতে নিজ নিজ দেশে ফিরে আসতে শুরু করেছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে জানা গেছে যে, আশেপাশের কয়েকটি দেশেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েগেছে ও অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের গবেষণা ও আলোচনা থেকে পরিস্কার হলো যে, বিদেশ ফেরত লোকদের মাধ্যমে অধিকাংশ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
এবার আন্তর্জাতিক ভাবে “ডব্লিউএইচও” এন্টিভাইরাস বা যথাযত চিকিৎসা না থাকায় এবং খুভ দ্রুত আশঙ্কা জনক ভাবে ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ায় এটিকে নোভেল করোনা ভাইরাস ও বিশ্বব্যাপী মহামারী ঘোষণা দিয়েছে এবং জনগণকে যথেষ্ট সাবধানতা ও সতর্কতার সাথে চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছেন।
মার্চ মাস থেকে শুরু হয়ে গেলো দেশের মানুষের চলাফেরা ও কর্মকাণ্ডের মধ্যে আকস্মিক স্থবিরতা। সরকারি ও ব্যবসা প্রতিস্থানের চাকুরীজীবীদের মধ্যে সংক্রমণের আকস্মিক ভয় ও উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে শিক্ষা প্রতিস্থানের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও সাভাবিক সংক্রমণের আশঙ্কা।
দেশের কিছু মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের উপস্থিতি পাওয়াই সরকার জনগণের স্বার্থে ও নোভেল করোনা ভাইরাস থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে সারা দেশ ব্যাপী সাধারণ ছুটি ও পর্যায়ক্রমে লকডাউনের ঘোষণা দেন।
সরকারের ঘোষণাকে কার্যকর করতে ও ভাইরাস থেকে বাঁচতে অনেকে নিজ নিজ এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে এলাকাকে লকডাউন করে দেন।
এক এলাকার মানুষ যাতে অন্য এলাকায় গমন না করেন সে ব্যাপারে দেওয়া হলো নিষেধাজ্ঞা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে নিজ নিজ এলাকার লোকেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য কারীদের শাস্তির ব্যবস্থাও করেছেন ও এক-ঘড়ে করে দিয়েছেন।
মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ও সরকারের নির্দেশিত লকডাউন বাস্তবায়নে সরকারের প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার নানাভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেন।
বিভিন্ন মহল সচেতন নাগরিকদের বিশেষ উদ্যোগে মানুষকে সচেতন করা থেকে শুরু করে জনগণের মধ্যে ভাইরাস ও জীবাণু ধ্বংসকারী এন্টিসেপ্টিক ও জীবাণু নাশক বিতরণ শুরু হয়।
বিশেষ খারাপ ও অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ভোগের সময়ে সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষের কষ্ট লাঘবে ও নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে অভাব ও দুর্দশা থেকে বাঁচাতে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রান-সামগ্রী ও অর্থ সাহায্য সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়।
সরকারের সাথে সাধারণ মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং সামর্থ্যবান সচেতন নাগরিকরা। এলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার পক্ষ থেকেও নানান সচেতনতা ও ত্রান কার্যক্রম চালানো হয়।
এপ্রিলের প্রাই শেষের দিকে জানা যাচ্ছে যে, আশেপাশের অনেক দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে ও অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের গবেষণা, আলোচনা, নানান পর্যবেক্ষণ ও পদক্ষেপের পরেও থামানো যাচ্ছে না এই ভাইরাসের ভয়াল সংক্রমণ।
তাই, বিশেষজ্ঞদের গবেষণা মতে এই সংক্রমণের থেকে বাঁচতে একমাত্র কার্যকরী উপায় হতে পারে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে একান্ত প্রয়োজনীয় সব কাজ করা ও ঘরে অবস্থান করা।
নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞগণ কিছু বিশেষ নিয়ম ও পদ্ধতি মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন।
নিয়ম গুলো হচ্ছে,
১) হাঁচি বা কাশী দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করা বা যথাযত শিষ্টাচার অবলম্বন করা।
২) বাইরে বের হলে বা কর্ম ক্ষেত্রে উপযুক্ত কার্যকরী মাস্ক পরিধান করা।
৩) প্রয়োজনে হাতে ও শরীরে হেন্ডগ্লাবস ও বিশেষ সুরক্ষা পোশাক পরিধান করা।
৪) চুখের ও মুখের মাধ্যমে সংক্রমণ সম্ভবনা বেশি থাকায় এই স্থান স্পর্শ থেকে বিরত থাকা।
৫) বাইরে বের হলে বা কর্ম ক্ষেত্রে ঘন ঘন সাবান বা হেন্ড সেনিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুনাশক করা।
(হাতের কবজি পর্যন্ত সাবান দিয়ে কমপক্ষে ১-২ মিনিট ভাল করে ধৌত করা)
৬) যেখানে সেখানে থুতু না ফেলা ও স্পর্শ না করা এবং কাপড় ও শরীর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
৭) আতঙ্কিত না হয়ে সব রকম নিয়ম মেনে সচেতনতা অবলম্বন করা।
৮) ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষন দেখা দিলে অথবা যে কোন অসুস্থতায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
৯) খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়া ও ঘরে অবস্থান করা।
১০) হেন্ডশেক, কোলাকুলি, আড্ডাবাজি থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা এবং দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করা।
ভাইরাস সম্পর্কে সঠিক ধারনা ও প্রতিরোধের নিয়ম সম্পর্কে অবগত থাকা। জুন মাসের প্রথম থেকে প্রাই সব কভিড-১৯ আক্রান্ত দেশ লগডাউন পরিস্থিতিতে তাদের জনগণের দুর্ভোগ পরিস্থিতি ও জাতীয় সমস্যা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পিছিয়ে পরা থেকে রক্ষা করতে ধীরে ধীরে দেশ ব্যপি লকডাউন তুলে দিতে থাকে। আর্থসামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও অনেক দেশ সম্পূর্ণ রুপে লকডাউন তুলে দেন কিন্তু কিছু কিছু ভিন্ন পদক্ষেপ নির্দেশনা চালু করেন।
বাংলাদেশ সরকার দেশব্যপি লকডাউন তুলে দিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ যাচাইবাছাই করে সংক্রমণের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে যোন ভিত্তিক অর্থাৎ এলাকা ভিত্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন যা বর্তমানে কার্যকর করা হচ্ছে।
দিন যত এগুচ্ছে, মানুষের মধ্যে কেমন যেন অদৃশ্য উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তায় মানুষিক হতাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ও দেশে এখনো কভিড-১৯ সন্দেহজনক ভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছে ও সংক্রমিত হচ্ছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সাধারণ মানুষ, ডাক্তার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য হারে মৃত্যুবরণ করছেন কভিড-১৯ সংক্রমিত রুগী। এই রকম পরিস্থিতিতে প্রতিটি মানুষকে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে সাহসিকতার সাথে আতঙ্কিত না হয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও নির্দেশনা মানতে হবে।
মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ও প্রতিরুধে বিশেষ নিয়ম শৃঙ্খলা ও শিষ্টাচার মেনে চলা একমাত্র উপায় ও পদক্ষেপ হতে পারে।
নোভেল করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞগণ কিছু বিশেষ নিয়ম ও পদ্ধতি মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন। নিয়ম গুলো হচ্ছে,
১) হাঁচি বা কাশী দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করা বা যথাযত শিষ্টাচার অবলম্বন করা।
২) বাইরে বের হলে বা কর্ম ক্ষেত্রে উপযুক্ত কার্যকরী মাস্ক পরিধান করা।
৩) প্রয়োজনে হাতে ও শরীরে হেন্ডগ্লাবস ও বিশেষ সুরক্ষা পোশাক পরিধান করা।
৪) চুখের ও মুখের মাধ্যমে সংক্রমণ সম্ভবনা বেশি থাকায় এই স্থান স্পর্শ থেকে বিরত থাকা।
৫) বাইরে বের হলে বা কর্ম ক্ষেত্রে ঘন ঘন সাবান বা হেন্ড সেনিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুনাশক করা।
(হাতের কবজি পর্যন্ত সাবান দিয়ে কমপক্ষে ১-২ মিনিট ভাল করে ধৌত করা)
৬) যেখানে সেখানে থুতু না ফেলা ও স্পর্শ না করা এবং কাপড় ও শরীর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
৭) আতঙ্কিত না হয়ে সব রকম নিয়ম মেনে সচেতনতা অবলম্বন করা।
৮) ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষন দেখা দিলে অথবা যে কোন অসুস্থতায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
৯) খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়া ও ঘরে অবস্থান করা।
১০) হেন্ডশেক, কোলাকুলি, আড্ডাবাজি থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা এবং দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করা।
ভাইরাস সম্পর্কে সঠিক ধারনা ও প্রতিরোধের নিয়ম সম্পর্কে অবগত থাকা। আমরা সকলে যদি বিশেষ নিয়ম শৃঙ্খলা ও শিষ্টাচার পদ্ধতি মেনে চলতে পারি তাহলে ব্যক্তিগত ভাবে নিজেরা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে পারবো।