প্রকাশিত: 19/07/2020
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত বিশ্ব টিকার আশায় দিন গুনছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস টিকা গবেষণার সঙ্গে যুক্ত একদল আইরিশ বিজ্ঞানী বলেছেন, সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকেই টিকা প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে।
অক্সফোর্ডে একদল গবেষকের নেতৃত্বে রয়েছে আইরিশ বিজ্ঞানী আদ্রিয়ান হিল। তিনি এর আগে ইবোলা ও ম্যালেরিয়ার টিকা তৈরিতে কাজ করেছেন। গত মে মাস থেকে তাঁর গবেষকদল করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে কাজ করছে।
এখন পর্যন্ত অক্সফোর্ডের টিকা পরীক্ষা করে ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা ও এ থেকে সেরে ওঠা সবার শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যে এ টিকার প্রথম ধাপের পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পাওয়ার কথা বলেছেন গবেষকেরা।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ডের গবেষকেরা মনে করেন, করোনাভাইরাস টিকা আবিষ্কারের জন্য তাঁরা যে হন্যে হয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাতে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষের শরীরে টিকার পরীক্ষার ফলাফল দেখে তাঁরা আশান্বিত হয়েছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ‘দ্বিগুণ সুরক্ষা’ দেবে টিকাটি।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা যুক্তরাজ্যে ১০ কোটি ডোজ ও যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরেই এ টিকা সরবরাহ শুরু করতে পারে।
অক্সফোর্ডের গবেষক দল এখন ‘চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল’ নামে মানুষের ওপর বিশেষ পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছেন যেখানে মানুষকে সরাসরি ভাইরাসে আক্রান্ত করা হবে। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীকে ভ্যাকসিন দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা দেখতে ভাইরাসের সংস্পর্শে আনা হবে। গবেষকেরা আশা করছেন, এ পদ্ধতিতে তারা দ্রুত ভ্যাকসিনের ফল জানতে পারবেন।
এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর কোনো পরীক্ষিত চিকিৎসা না থাকায় চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালকে বিতর্কিত হিসেবে হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে, আইরিশ বিজ্ঞানী আদ্রিয়ান হিল বলেন, করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালে ঝুঁকি কম থাকবে কারণ স্বেচ্ছাসেবীদের অধিকাংশের বয়সই হবে ২০-এর ঘরে। গবেষকেরা এ বয়সের মানুষের করোনাভাইরাসে মৃত্যুহার কম বলে দাবি করে আসছেন।