করোনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কাজে অমনোযোগী হচ্ছেন অনেকে: গবেষণা

প্রকাশিত: 18/10/2020

অনলাইন ডেস্ক:

করোনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কাজে অমনোযোগী হচ্ছেন অনেকে: গবেষণা

করোনাভাইরাস নিয়ে যে মানুষের চিন্তার শেষ নেই এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যারা এখনও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি, তারা ভাবছেন- এবার আমার পালা নয়তো? করোনাভাইরাস নিয়ে এ রকম নানা দুশ্চিন্তায় এতটাই মানসিক চাপ বেড়ে যাচ্ছে অনেকের যে তারা কাজে মন দিতে পারছেন না। 

সম্প্রতি এক গবেষণায় এই জরুরি তথ্য উঠে এসেছে। অবশ্য এই গবেষণা আরও বলছে যে, যদি আপনার কর্ম প্রতিষ্ঠান ভালো হয় বা প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রকৃত সহৃদয় হন, তা হলে তিনি আপনাকে এই চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে এবং কাজে মন দিতে সাহায্য করবেন।

এই গবেষণার মূল কাণ্ডারি হলেন জিয়া। জিয়া এই মুহূর্তে ওহায়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশার কলেজ অব বিজনেসের মানবসম্পদ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি বলেছেন, করোনা আমাদের মানসিক অবস্থা এমন করেছে যে আমরা এখন শুধু নিজের মৃত্যু নিয়েই ভাবছি। 

এতে কাজের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ কাজে একদম মন বসানো যাচ্ছে না। এখানে উল্লেখযোগ্য যে এই গবেষণা করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে।

গবেষকরা এই ফলাফলে পৌঁছনোর পথে তিনটি আলাদা গবেষণা করেন। প্রথম গবেষণা হয় চীনের একটি প্রযুক্তি কোম্পানিতে। সেখানে ১৬৩জন কর্মচারীকে নানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর সেটাও করা হয় এমন সময় যখন দেশে করোনা পরিস্থিতি তুঙ্গে। যাতে তাঁদের অস্থিরতা আরও বেশি করে প্রকট হয়, তাই এমন সময় বেছে নেওয়া।

পরে যুক্তরাষ্ট্রেও একই রকমের একটি গবেষণা করা হয়। এ ক্ষেত্রে কর্মচারীদের কাছ থেকে শুধু করোনা সংক্রমণ নিয়ে তাদের চিন্তা ও অস্থিরতার কথা জানতে চাওয়া হয়নি। জানতে চাওয়া হয়েছে যে কোম্পানিতে তারা কাজ করেন সেটা কেমন বা যার অধীনে তারা কাজ করেন তিনি কী রকম? সেই জন্য এক থেকে সাতের মধ্যে একটি নম্বর দিতেও বলা হয় তাদের।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের গবেষণার ফলাফল মোটামুটি একই এসেছে। দুই দেশেই এটা প্রমাণিত হয়েছে যে যারা কোভিড-১৯ নিয়ে বেশি পড়াশোনা করেন, তাদের মানসিক চাপ অনেক বেশি। যে সব কর্মচারীরা তাদের বসকে অনেক বেশি নম্বর দিয়েছেন, তাদের কিন্তু মানসিক চাপ অনেক কম দেখা গেছে। 

কারণ সে ক্ষেত্রে তাদের বস বিভিন্ন গঠনমূলক বা জনকল্যাণমূলক কাজে কর্মচারীদের নিযুক্ত করে বাড়তি চাপ কমাতে সাহায্য করেছেন।

আরও পড়ুন

×