টেকনাফে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ইয়াবা-অস্ত্রসহ আটক তিন

টেকনাফে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে  ইয়াবা-অস্ত্রসহ আটক তিন

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মো.সিরাজুল মোস্তফা এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা ডাকাত নুরুল আলমের ছোট ভাইসহ তিন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। এসময় ২ হাজার পিস ইয়াবা, দেশীয় অস্ত্র আগ্নেয়াস্ত্র ও ৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। 

শুক্রবার (২৬ মার্চ)

সকাল ৭ টার দিকে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বড়ডেইল এলাকার ডাকাত কামরুলের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।

আটককৃতরা হলেন, 

বাহারছড়া শামলাপুর বড়ডেইল এলাকার নুরুল আলমের সহযোগী ডাকাত কামরুল (৩৫) , টেকনাফের নয়াপাড়া আনসার ক্যাম্পে হামলা করে আনসার কমান্ডার হত্যার পর অস্ত্র লুটের ঘটনায় অভিযুক্ত রোহিঙ্গা ডাকাত (নিহত) নুরুল আলমের ছোট ভাই কামাল সাদেক (২৪) ও তার সহযোগী মো. আলী (২৬) কে আটক করা হয়। কামাল সাদেক ও মো. আলী রোহিঙ্গা নাগরিক এবং টেকনাফ মুছনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হ্যাস ব্লক ও এ ব্লকের বাসিন্দা। 

 

আটক কামরু বাহারছড়া বড় ডেইল এলাকার মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে।

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মো.সিরাজুল মোস্তফা বলেন, মাদকের বড় চালানের খবরের ভিত্তিতে ওই বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়। এসময় তিনজনকে ইয়াবা, এলজি ও কার্তুজসহ আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী এবং ডাকাত দলের সদস্য ও অপহরণসহ মুক্তিপণ আদায়ের মতো নানান অপরাধে জড়িত। এঘটনায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

 

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৩ মে ভোররাতে 

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মুচনী এলাকার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলা চালায় এক দল দুর্বৃত্ত। এতে নিহত হন আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আলী হোসেন। এ সময় ১১টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৭০টি গুলি লুট করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে রোহিঙ্গাদের দায়ী করে র্যা ব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পরদিন অজ্ঞাত পরিচয় ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে আনসার ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন

×